ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

বাংলা নিউসপেপার পেজে আপনাকে সাগত / এই সাইট টি সুথু  মাত্র বাংলা নিউস এর জন্য নয় / আমি নেট ঘেটে যখনি ভালো কিছু পাই তখনি এই সাইটে পোস্ট করি যাতে পরবর্তিতে চাইলে একসাথে সব দেখতে পারি / আমার বিশ্বাস আমার ভালোলাগা বিসয়্গুলো আপনার ভালো লাগবে / যদি আপনি খুব বাস্ত না হন এবং আপনার হাতে ২-৩ মিনিট সময় থাকে তাহলে আমি আপনাকে রিকুইস্ট করব সাইট টির হোম (HOME) পেজ ক্লিক করার জন্য যাতে আপনি পুরো সাইট টি দেখতে পারেন / বাংলা নিউসপেপার সাইট টি থেকে যদি আপনাদের এতটুকু সাহায্য করতে পারি  তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক / আপনাকে আরো একবার আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি / 

20110729

Honours 4th year Exam Routine (৪র্থ বর্ষ সম্মান পরিক্ষার সময় সূচি)

Honours 4th year Exam Routine (৪র্থ বর্ষ সম্মান পরিক্ষার সময় সূচি)। ছবি পূর্ণ মাপে দেখার জন্য ছবির উপর ক্লিক করুণ । ছবিগুল JPGE ফরম্যাটে আছে । পূর্ণ মাপে ছেভ কোঁড়তে পাড়েণ ।

অথবা এই সাইট থেকে PDF ফর্মেটের ফাইল টি ডাউনলোড করে নিতে পারেন। পরিক্ষার জন্য দোয়া করবেন ।  




বিদেশে যাবার পূর্বে আপনার ভিসা জাচাই করে নিন ।

যারা সাউদিয়ারব(Saudi Arobia) যেতে চান তারা সাউদিইয়ারব যেতে কত টাকা লাগবে এবং বাংলাদেশ সরকারের নির্ধারিত টাকার পরিমার এই সাইট থেকে জানতে পারেন। এটি বাংলাদেশি সরকারি ওয়েব সাইট । এই সাইট থেকে কখন কোন দেশে ভিসা ছারে এবং সরকারি লাইছেন্স ধারি এজেঞ্চি কারা তার লিস্ট পাবেন। সবচাইতে ভালো হয় যদি সউদিতে থাকে এমন কেউ আপনার জন্য ভিসা পাঠায় ।  ভিসা হাতে পাবার পড় জানাজরুরি যে ভিসা টা  আসেছে তা আপনার নামে এসেছে কিনা । ভিসা আপনার নামে এসেছে কিনা, কোন কম্পানি ভিসা ইস্যু করেছে , মাসিক বেতন কত , ভিসার মেয়াদ কতদিনের , নবায়ন করা জেবে কিনা ইত্যাদি বিষয় জানার জন্য সাউদিয়ারব(Saudi Arobia) সাইট ভিজিট  করতে পারেন । সাইট টিতে ঢুকলে প্রথমেই সাইট টির হোম পেজ দেকতে পাবেন তা নিচের চিত্রের মতন । Ministry of Interior Kingdom of Saudi Arabia সাইট টি তে যাবার জন্য ছবির উপর ক্লিক করতে পারেন।  
 

এর পড় আমাদের ভিসা ইনফর্মেশন গুলো  সঠিক ভাবে ফিলাপ করতে হবে । 

 

যদি ভিসা আপনার নামে আসে থেকে এবং আপনি ভিসা ইনফর্মেশন সঠিক ভাবে প্রদান করেন তাহলে আপনার ভিসা ইনফর্মেশন ওয়েবসাইট প্রদরশন করবে । এর যদি ভিসা আপনার নামে না আসে বা আপনি ভুল ইনফর্মেশন প্রদান করেন তাহলে ভিসা ইনফর্মেশন প্রদান করবেনা । প্রয়োজন বোধে ২-৩ বার ট্রাই করতে পারেন ।  



Dubie : go http://www.mol.gov.ae/ownersservices/employeeCredential.aspx > labour card information > no > write passport no, birth year, nationality and mobile no 05123456789 > next then edit web adress http://www.mol.gov.ae/ownersservices/employeereceipt.aspx if you see your photo and name visa correct

অনেকেরি এ পোস্ট টি সম্পূর্ণ বুজতে সমস্যা হচ্ছে ।  সিগ্রই এই পোস্ট টি নিয়ে বিস্তারিত আলচনা সহ একটি পোস্ট করাহবে।  

এ ধরনের আরও পোস্ট  

বিদেশে যাওয়ার ফাঁদে পড়ে ২০ যুবক নিঃস্ব

‘জমিজমা, গরু-বাছুর বেচছি। চড়া সুদে মহাজনের থ্যা ঋণ নিছি। তারপর সব মিলায়া তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকা একই গিরামের আদম ব্যবসায়ী ফরহাদের হাতে তুইল্যা দিছি। আড়াই বছর হয়া গেল উনার কুনু খোঁজখবর নাই। ওই আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পইড়্যা আইজ আমাগরে পরিবারডা নিঃস্ব হয়া গেছে।’
কথাগুলো বলতে বলতে গলা ধরে আসে পাবনার বেড়া উপজেলার পুরানভারেঙ্গা ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের যুবক আওয়াল মিয়ার। তার মতো একই অবস্থা উপজেলার আরও ২০ জনের।
প্রতারিত হওয়া কয়েকজন অভিযোগ করেন, প্রতাপপুর গ্রামের বাচ্চু শেখের ছেলে ফরহাদ হোসেন (৩৩) কয়েক বছর মালয়েশিয়ায় চাকরি করে দেশে ফেরেন। এরপর ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানিতে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নিজ গ্রামের সহোদর আবদুল আওয়াল ও বাহাদুর মিয়ার কাছ থেকে তিন লাখ ৭৬ হাজার টাকা নেন। এ ছাড়া একই কথা বলে একই গ্রামের শুকুর আলী ও রাসেল, বসন্তপুর গ্রামের শাজাহান শেখ, রঘুনাথপুর গ্রামের সুরুজ মিয়া, জালাল মোল্লা, নগরবাড়ী ঘাটের সুরুজ কামার ও শাজাহান কামার, শহীদনগরের মনসুর আলীসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২০ যুবকের কাছ থেকে এক থেকে দেড় লাখ টাকা করে নেন। এভাবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা সংগ্রহ করার পর তিনি ওই যুবকদের মালয়েশিয়া না পাঠিয়ে নানা টালবাহানা শুরু করেন। এ অবস্থায় আবদুল আউয়াল ও বাহাদুর মিয়াসহ প্রতারিত কয়েকজন টাকা ফেরতের জন্য তাঁর ওপর চাপ দেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তিনি ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিলের মধ্যে টাকা ফেরত দেবেন বলে ১০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখিত অঙ্গীকার করেন। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে টাকা ফেরত না দিয়ে তিনি গা-ঢাকা দেন।
রঘুনাথপুর গ্রামের শাহীন শেখ বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমি বন্ধক রাইখ্যা আর ফেরি ঘাটের ছোড মুদি দোকানটা বিক্রি কইরা ফরহাদকে দেড় লাখ টাকা দিছি। এখন আমি নিঃস্ব হয়া পরিবারপরিজন নিয়া খায়া না খায়া দিন কাটাইতেছি।’
এদিকে টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিত কয়েকজন পুরানভারেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) লিখিত অভিযোগ করেন। এতে পরিষদ সালিসের আয়োজন করলে সেখানে ফরহাদের বাবা বাচ্চু শেখসহ পরিবারের কয়েকজন উপস্থিত হন। সালিসে টাকা নেওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় বাচ্চু শেখ ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রতারিত পাঁচ যুবককে ৪০ হাজার করে মোট দুই লাখ টাকা ফেরত দেন। সালিসে বাচ্চু শেখ জানান, ফরহাদ পালিয়ে মালয়েশিয়া চলে গেছে। সেখান থেকে সে টাকা পাঠালে বাকি টাকা শোধ করা হবে।
পুরানভারেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান এ এম রফিকউল্লাহ বলেন, ‘মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কথা বলে ফরহাদ আমার এলাকার ছয়জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। অন্য এলাকার কয়েকজনের কাছ থেকেও সে টাকা নিয়েছে বলে শুনেছি। এ ব্যাপারে পরিষদে সালিসের আয়োজন করা হলে আমার মাধ্যমে ফরহাদের বাবা বাচ্চু শেখ পাঁচজনকে ৪০ হাজার করে টাকা ফেরত দেন। বাকিদেরও কিছু কিছু করে ফেরত দিয়েছেন বলে শুনেছি।’
এদিকে টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিতরা ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ সুপার বিষয়টি পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) কালীপদ পোদ্দারকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে কালীপদ পোদ্দার জানান, প্রাথমিক তদন্তে কয়েকজনের কাছ থেকে ফরহাদ টাকা নিয়েছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে সালিসের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
এ ব্যাপারে ফরহাদের ভাই আজাদ হোসেন বলেন, ‘ফরহাদ এখন মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। তিনি মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে অল্প কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিলেও তার বেশির ভাগই শোধ করে গেছেন। বাকি টাকা পরিবারের পক্ষ থেকে মিটিয়ে দেওয়ায় এখন কেউ আর টাকা পাবে না। এলাকার কয়েকজন উদ্দেশ্যমূলকভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং আমাদের পরিবারের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে।’

এ ধরনের আরও পোস্ট  
১। বিদেশে জেতে আপনি কত টাকা দিচ্ছেন ?
২। বিদেশে যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা (want to go abroad)
৩। Varified your vissa with website (আনার ভিসার সত্যতা যাচাই করুণ )  

বিদেশে জেতে আপনি কত টাকা দিচ্ছেন ?


‘বিদেশে যাবেন? ভালো কথা। কিন্তু প্রতারিত যেন না হতে হয়। আ র প্রতারণা থেকে বাঁচতে হলে প্রথমেই দরকার সচেতনতা। আপনি যে দেশেই যাবেন, আগে সে দেশের শ্রম আ ইন সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে। কাদের মাধ্যমে যাচ্ছেন, সেটা আপনাকে বিবেচনায় রাখতে হবে। জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরো নামে সরকারের একটি বিভাগ আছে। এখান থেকে তথ্য নিয়ে আপনি নিজেই জানতে পারবেন যে আপনি প্রতারিত হচ্ছেন, নাকি সত্যিই একটি চাকরি করতে যাচ্ছেন।’ বলছিলেন জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম।
জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে কাজ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রামরু (RMMRU)। এর প্রকল্প পরিচালক তাসনিম সিদ্দিকী মনে করেন, যিনি বিদেশে যাবেন, তাঁকে কয়েকটি বিষয় এর আগে প্রথমে বিবেচনায় আনতে হবে। কেন যাচ্ছেন, কী কাজে যাচ্ছেন, যাওয়ার পর কী কাজ করে কত টাকা পাবেন—এসব বিষয়ে থাকতে হবে পরিষ্কার ধারণা। এরপর ভাবতে হবে, যিনি যাচ্ছেন, তিনি কত টাকা ঋণ করে নিয়ে যাচ্ছেন এবং তাঁর পোষ্য যাদের রেখে যাচ্ছেন, তাদের জন্য কী রেখে যাচ্ছেন। তারা কীভাবে চলবে? এরপর বিবেচনায় নিয়ে আসতে হবে, যত টাকা দিয়ে তিনি বিদেশে যাচ্ছেন, সেই টাকা দিয়ে তিনি দেশেই কোনো কাজ করতে পারেন কি না। তিনি বলেন, সবকিছু হিসাব করে যদি দেখা যায় যে বিদেশে যাওয়াটাই লাভজনক, তবেই বিদেশযাত্রার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত।
ধরা যাক, একজনের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়ায়। তিনি বেকার যুবক। বিদেশে যেতে চান চাকরি করার জন্য। কিন্তু কীভাবে, কার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, তা তাঁর জানা নেই। এ জন্য তাঁকে প্রথমেই ভাবতে হবে, কোন কাজে তিনি দক্ষ। পরে ঠিক করবেন, কোন দেশে যেতে চান। এরপর খোঁজ নিন, কোন কোন দেশে বাংলাদেশের লোক যাচ্ছে। সংবাদপত্রের মাধ্যমেও জানা যাবে বিদেশে লোক নিয়োগের খবরাখবর।
তবে নিয়োগের এসব খবর শুনে বা বিজ্ঞাপন দেখেই তার পেছনে প্রথমে না ছুটে ভালো করে খোঁজখবর নিতে হবে। মাঝখানের দালাল এড়িয়ে সরাসরি কোনো রিক্রুটিং এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। কারণ, দালাল ধরলেই খরচ বেড়ে যাবে। তবে যে রিক্রুটিং এজেন্সিতে যাচ্ছেন ওই রিক্রুটিং এজেন্সি বৈধ কি না, রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স নম্বর ঠিক আছে কি না, খোঁজখবর নিন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর ৮৯/২ কাকরাইল অফিসে (ফোন: ৯৩৫৭৯৭২) অথবা http://www.ovijogbmet.org ওয়েবসাইটে গিয়ে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে পারেন। খোঁজ নিতে পারেন দেশের ২১টি জেলার আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোয়—বরিশালের কালীবাড়ি রোড, বগুড়ার গোহাইল রোডের খান্দার, বান্দরবানের মাস্টার শপিং সেন্টার, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ, কুমিল্লার ঝাউতলা, ঢাকার ইস্কাটন গার্ডেন রোড, দিনাজপুরের ঘাসিপাড়া, ফরিদপুরের মোল্লাবাড়ি রোড, জামালপুর সদর থানার বজরা পাড়া, যশোরের নিউ মার্কেট, খুলনার খান জাহান আলী রোড, কুষ্টিয়ার বিসি রোড, ময়মনসিংহের জেসি গুহ রোড, নোয়াখালীর মাইজদী বাজার রোড, পাবনার ঢাকা রোড, পটুয়াখালীর কলেজ রোড, রাজশাহীর গ্রেটার রোড, রাঙামাটির কালিন্দীপুর, রংপুরের উত্তর গুপ্তাপাড়া, সিলেটের পাঠানটোলা এবং টাঙ্গাইলের আবদুল মজিদ ভুইয়া লেনে।
কোন কোন দেশে কী কী কাজে লোক নেওয়া হবে, তার বিবরণ জানা যাওয়ার কথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়েও, এ ছাড়া সংবাদপত্রের মাধ্যমেও জানা যাবে বিদেশে লোক নিয়োগের খবরাখবর। আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোতে গিয়ে নিজের নাম নিবন্ধন করেন অনেকেই।
এবার আসুন টাকার কথায়। অনেক সময়ই বলা হবে যে ‘১০ লাখ টাকা দিন, আপনাকে জাপান বা আমেরিকায় নিয়ে যাওয়া হবে।’ এসবে বিশ্বাস না করে বরং আগে জেনে নিতে হবে, কোন দেশের জন্য কত টাকা প্রয়োজন, তা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জন্য সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে। চেষ্টা করুন এই টাকায় যাওয়া যায় কি না।
মধ্যপ্রাচ্য অর্থাত্ সৌদি আরব, দুবাই, কাতার, কুয়েত এবং মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যেতে পুরুষের জন্য খরচ পড়বে ৮৪ হাজার টাকা; নারীর জন্য নির্ধারণ করা আছে ২০ হাজার টাকা। নারীর বিমান ভাড়ার টাকা সব সময় বিদেশি কোম্পানির মালিকেরা দিয়ে থাকেন। ইতালি ও ইউরোপের দেশগুলোর জন্য সরকার-নির্ধারিত টাকার অঙ্ক হচ্ছে দুই লাখ ১০ হাজার। আবার কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যেতে খরচ পড়বে ৫৩ হাজার টাকা—জানালেন নুরুল ইসলাম।
রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে টাকা জমা দেওয়ার পর যখন পাসপোর্টে ভিসা লাগানো হয় এবং ওয়ার্ক পারমিট আনা হয়, তখন সেগুলো সঠিক কি না, তা দেখার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে গিয়ে খোঁজ নেওয়া যায়। জনশক্তি ব্যুরোতে ভিসা জাল কি না, তা পরীক্ষা করানো যায়। যে ভিসা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো সেই ভিসা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসে পাঠিয়ে জেনে নেয়, ভিসাটি ঠিক আছে কি না।

বিদেশে যাওয়ার আগে যা যা করণীয়
রিক্রুটিং এজেন্সি বৈধ কি না, তা দেখে নিন।
কোনো ব্যক্তি বা দালালের সঙ্গে কোনো চুক্তি করবেন না।
যে দেশে যাচ্ছেন, সেই দেশের শ্রম আ ইন জেনে নিন।
বিদেশে গিয়ে যদি চাকরি নিয়ে কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তবে তাত্ক্ষণিকভাবে সেই দেশে অবস্থিত নিজ দেশের দূতাবাসকে অবহিত করুন।
সরকার-নির্ধারিত বেশি অর্থ চাইলে বুঝতে হবে, এখানে অসত্ কোনো উদ্দেশ্য আছে। সঙ্গে সঙ্গে তা জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিভাগে জানান।
বিদেশে গিয়ে বৈধপথে টাকা পাঠান। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠালে সেই টাকা মার যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
চাকরির চাহিদাপত্র পরীক্ষা করিয়ে নিন।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।
বহির্গমন ছাড়পত্র নিয়ে নিন।
যদি কোথাও আপনি প্রতারণার শিকার হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন, তবে http://www.ovijogbmet.org এই ঠিকানায় আপনি অভিযোগ জানান।

সচেতন হোন
সাধারণত কয়েকভাবে বাংলাদেশ থেকে মানুষ বিদেশে চাকরির জন্য যায়। এক হচ্ছে বিভিন্ন রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে। এর বাইরে যাদের স্বজন দেশের বাইরে থাকেন অথবা দেশের বাইরে থেকে যাঁরা আসেন, তাঁরা অনেক সময় ভিসা নিয়ে আসেন; আ র তাঁরা বেশি টাকার বিনিময়ে লোক নিয়ে যান। অনেক সময় দেখা যায়, এঁরাই গিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। এ ছাড়া ভ্রমণ-ভিসা ও লেখাপড়ার ভিসা দিয়ে দালালেরা বিদেশে লোক নিয়ে যায় এবং তাঁরা প্রতারিত হন। এ ক্ষেত্রে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো এখানে খুব বেশি সহযোগিতা করতে পারবে না বা এর দায়ও নেবে না।
এ ব্যাপারে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেছেন, ‘এ ধরনের সমস্যাগুলোর দায় আমরা নেব না। কারণ, এগুলো বৈধ পথে সম্পন্ন হয়নি। এ জন্য আমাদের জনগণের সচেতনতা দরকার। একজন লোককে যখন বলা হয়, “১০ লাখ টাকা দাও, আমি আমেরিকা পাঠিয়ে দিব।” তখন তাঁকে আগে দেখতে হবে, ১০ লাখ টাকা দিয়ে সেখানে গিয়ে তিনি কত টাকার বেতনে চাকরি করবেন। কত বছরে সেই টাকা উঠে আসবে। আ র বিদেশে যেতে কখনোই এত টাকার প্রয়োজন হয় না। এ বিষয়টি আমাদের বুঝতে হবে।’
নুরুল ইসলাম জানান, একমাত্র ইসরায়েল ছাড়া পৃথিবীর আ র সব দেশেই বাংলাদেশিরা চাকরির জন্য যেতে পারেন। এখন সারা বিশ্বে ৬৭ লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এরা বৈধ পথেই চাকরি নিয়ে বিদেশে গেছেন। কিন্তু অবৈধ পথে কতজন বাংলাদেশি গেছেন, এর সংখ্যা কারও জানা নেই।
জনশক্তি ব্যুরোর দেওয়া হিসাবে জানা গেছে, সরকারি কর্মব্যস্ত দিনে প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন চাকরি নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এঁরা যাচ্ছেন বৈধ পথে। এঁদের মধ্যে পেশাগত অর্থাত্ চিকিত্সক, প্রকৌশলীরা যাচ্ছেন শতকরা তিন ভাগ। দক্ষ অর্থাত্ কাজ শিখে যাচ্ছেন যেমন—রাজমিস্ত্রি, ঝালাইকারী, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, গাড়ি-চালক—এসব পেশায় শতকরা ৩০ ভাগ মানুষ। সামান্য কিছু কাজ শিখে যাচ্ছেন শতকরা ১৭ ভাগ। একদমই কাজ না জেনে যাচ্ছেন শতকরা ৫০ ভাগ মানুষ। এর বাইরে অবৈধভাবে যাঁরা যাচ্ছেন, তাঁরা কেউ ফেরত আসছেন, কেউ বা কষ্ট স্বীকার করে হলেও লুকিয়ে সেখানে চাকরি করছেন।

কোন পেশার বেশি মূল্য
সৌদি আ রব থেকে ফিরে এসেছেন আবদুল হান্নান। ২১ জানুয়ারি রিটার্ন টিকিট চূড়ান্ত করতে এসেছেন হোটেল সোনারগাঁওয়ের সৌদি এয়ারলাইনস দপ্তরে। তিনি জানালেন, কোনো কিছু না শিখে চার বছর আগে গিয়েছিলেন। এ জন্য প্রথম দিকে সামান্য কিছু টাকা পেতেন। তাই দিয়ে নিজের ব্যয় মিটিয়ে বাকি সামান্য টাকা দেশে পাঠাতেন। কিন্তু যখন তিনি কাজ শিখলেন, অভিজ্ঞ হলেন, তখন তিনি তিন গুণ বেশি অর্থ পেয়েছেন। তিনি আ রও জানালেন, চিকিত্সক, প্রকৌশলী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট পেশায় যাঁরা যান, তাঁরা অনেক টাকা বেতনে যেতে পারেন। আ র শ্রমিক শ্রেণীর মধ্যে ড্রাইভার, রাজমিস্ত্রি, ওয়েল্ডিংয়ের কাজ জানা শ্রমিক ভালো বেতন পেতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফিরে এসেছেন নজরুল। ১০ বছর ছিলেন সেখানে। বললেন, ভাষা জানা থাকলে দক্ষিণ কোরিয়ায় অনেক ভালো বেতনে চাকরি করা যায়। সেখানে ড্রাইভার থেকে শুরু করে বিক্রেতার কাজ করেই মাসে ভালো অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। নির্মাণশ্রমিকেরও সেখানে অনেক বেতন বলে তিনি জানালেন।
দুবাইতে নির্মাণশ্রমিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। মরুভূমি অঞ্চলে বড় বড় স্থাপনা গড়ে উঠছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে পাঁচতারকা হোটেলের সংখ্যা। দুবাই থেকে এসে আফসার মিয়া জানালেন, ‘এখন সেখানে একজন নির্মাণশ্রমিক যদি ১০ বছর কাজ করতে পারেন, তবে তিনি যে টাকা নিয়ে আসতে পারবেন, তাঁকে ভবিষ্যতে আ র চিন্তা করতে হবে না। আ র পাঁচতারকা হোটেলে অনেক শিক্ষিত ছেলেমেয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের অনেকেই সেখানে ভালো বেতনে চাকরি করছেন। অনেক আরামের চাকরি।’

কোন জেলা থেকে কত লোক যাচ্ছে
জনশক্তি ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের পরিসংখ্যান মতে, টাঙ্গাইল জেলা থেকে প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি মানুষ বৈধ পথে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এর পরই আছে গাজীপুর, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও ময়মনসিংহ জেলা। তবে আস্তে আস্তে দেশের অন্যান্য জেলা শহর থেকেও চাকরি নিয়ে মানুষের বিদেশে পাড়ি জমানোর প্রবণতা বাড়ছে।

প্রতারণা ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে
প্রথমত, সরকার এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষ এখন বিদেশে গিয়ে শ্রমিকদের যাতে প্রতারিত না হয়, সে জন্য যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক। তিনি জানান, ‘আমরা জানি, একজন মানুষ অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে দেশ ছেড়ে যায়। তাঁর স্বপ্নটা ভেঙে যাওয়া মানে পুরো পরিবারটি ভেঙে যাওয়া। এ জন্য বিদেশে যেতে ইচ্ছুক এমন যে কাউকে আমরা সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য প্রস্তুত।’
বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশনের নিরাপত্তা পরিচালক উইং কমান্ডার মো. শাহেদুর রহমান বললেন, ‘সরকার এখন বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। এই বিমানবন্দরেই আমরা দেখি, অনেকেই প্রতারিত হয়ে ফিরে আসছেন। তখন নিজের কাছেই কষ্ট লাগে। আমরা নিরাপত্তার পাশাপাশি পুরো বিমানবন্দর সিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনে দেখি, যেন কোনো দালাল শ্রেণীর মানুষ ভিড় করতে না পারে। অন্তত এই যাওয়ার জায়গাটিতে কেউ যাতে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিতে না পারে, সে জন্য সবাই একসঙ্গে কাজ করছেন। শুধু বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে নয়, যাঁরা বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন, তাঁরা যখন আসেন, তখন একটা বিষয় ভালোভাবে খেয়াল রাখি, যেন তাঁকে হেনস্তা না হতে হয়। তাদের ব্যাগও এখন আগের মতো খুব বেশি তল্লাশি করা হয় না। আমরা মনে করি, যদি সবাই সচেতন হই এবং বিদেশে যাওয়ার আগে সবকিছু জেনে নিই, তাহলে প্রতারণা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।’

বিদেশে যাওয়ার আগে নিতে পারেন প্রশিক্ষণ
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো বিদেশে যেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। যেসব স্থানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেগুলো হলো—নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন টেকনোলজি ইনস্টিটিউট, ঢাকার মিরপুরের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি), মিরপুরেরই বাংলা-জার্মান টিটিসি, চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ অঞ্চলের চট্টগ্রাম টিটিসি, রাজশাহীর সপুরায় রাজশাহী টিটিসি, কুমিল্লার কোটবাড়ির কুমিল্লা টিটিসি, ফরিদপুরের শ্রীঅঙ্গনে ফরিদপুর টিটিসি, রাঙামাটির কলেজ গেটে রাঙামাটি টিটিসি, খুলনার তেলিগাতীতে খুলনা টিটিসি, ময়মনসিংহের মাসকান্দায় ময়মনসিংহ টিটিসি, বগুড়ার সান্তাহার রোডে বগুড়া টিটিসি এবং বরিশালের সিঅ্যান্ডবি রোডে বরিশাল টিটিসি।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে জানানো হয়েছে, মোট ৩৯টি বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (মেরিন টেকনোলজি), ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং (শিপ বিল্ডিং টেকনোলজি), মেরিন ডিজেল ইঞ্জিন আর্টিফিশার, শিপ ফেব্রিকেশন, শিপ বিল্ডিং অ্যান্ড মেকানিক্যাল ড্রাফটিং, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিং, জেনারেল মেকানিকস, মেশিন টুলস অপারেশন, ওয়েল্ডিং ওয়ার্কার্স, সিভিল কনস্ট্রাকশন, কম্পিউটার অপারেশন, গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিংসহ আরও কয়েকটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে দীর্ঘদিন কাজ করছে অপর একটি প্রতিষ্ঠান ‘ধানসিঁড়ি’। এর ম্যানেজার (অপারেশন) অনল রায়হান বললেন, ‘আসলে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই প্রশিক্ষণ অনেক সময় কাজে লাগে না। কারণ, এখান থেকে নির্মাণশ্রমিকের প্রশিক্ষণ নিয়ে যখন একজন মানুষ সৌদি আরবে যান, যাওয়ার পর সেখানে গিয়ে যে যন্ত্রপাতি দেখেন, তখন সেগুলো আ র আমাদের লোকজন ব্যবহার করতে পারেন না। ফলে তাঁর বেতন কমে যায়। এ জন্য সেই মানের প্রশিক্ষণ না দিতে পারলে আসলে জনশক্তির দিকটি উন্নয়ন করা যাবে না।’

পোস্ট বাইঃ আতিক নরসিংদী

এ ধরনের আরও পোস্ট 
১। বিদেশে যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা (want to go abroad) 
২। Varified your vissa with website 
৩। বিদেশে যাওয়ার ফাঁদে পড়ে ২০ যুবক নিঃস 

বিদেশে যাওয়ার আনুষ্ঠানিকতা (want to go abroad)


বিদেশে যাওয়ার আগে বিদেশ যাত্রীকে কিছু জরুরি কাজ সারতে হয়। এরমধ্যে আছে বিমানের টিকিট কাটা,লাগেজ গোছানো,বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা ইত্যাদি। ঝামেলা ছাড়া বিদেশ যেতে হলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানা দরকার।

১। বিমানের টিকিট
২। ব্যাগ/লাগেজ
৩। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা
৪। বিদেশে যাওয়ার পর কোন অসুবিধা হলে
৫। সচরাচর জিজ্ঞাসা


১। বিমানের টিকিট :
আকাশপথে বিদেশ যেতে চাইলে বিমানের টিকিট কাটা দরকার। যে দেশে যাবেন সেই দেশের বিমান অথবা সেই দেশে যায় এমন কোন বিমানের টিকেট কিনতে হয়। তবে সাধারণত আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে যাচ্ছেন তারাই বিমানের টিকিট কাটার ব্যবস্থা করে থাকে।টিকেট করার সময় জানতে হবে-
প্লেন ছাড়ার সময়
পৌঁছানোর সময়
ছাড়ার পর প্লেনটি মাঝপথে কোথায় নামবে এবং সেখানে কতক্ষণ থাকবে,এই সময়ে কোথাও থাকার ব্যবস্থা করবে কিনা

২। ব্যাগ/লাগেজ: 
একজন যাত্রী হাতব্যাগে সর্বোচ্চ ৫-৭ কেজি এবং চেকইন ব্যাগে ২০ কেজি ওজনের জিনিসপত্র নিতে পারেন। পাসপোর্ট,টাকাপয়সা,গহনা,চাকরি ও ভ্রমনের কাগজপত্র,দলিল ইত্যাদি হাতব্যাগে নিজের কাছে রাখুন। চেকইন ব্যাগে পোশাক,শুকনো খাবার ও অন্যান্য দরকারী জিনিস রাখুন।

৩। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা : 
বিমান ছাড়ার ৪ ঘন্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছতে হয়। এসময় পাসপোর্ট,টিকেট,জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্র ও অন্যান্য দরকারী কাগজপত্র সাথে রাখতে হবে।
টিকেট কাউন্টারে টিকিট জমা দিয়ে বোর্ডিং কার্ড সংগ্রহ করতে হয়।
টিকেট,পাসপোর্ট,এম্বারকেশন রসিদ,বোর্ডিং কার্ড সহ ইমিগ্রেশন কাউন্টারে প্রবেশ করতে হয়।
ইমিগ্রেশন কার্ড,পাসপোর্ট,ভিসা,জনশক্তি রপ্তানি ব্যুরোর ছাড়পত্র এসব কাগজপত্র পরীক্ষা করার পর পাসপোর্টে সীলমোহর দেয়া হয় এবং প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।
এসব কাজে কোনরকম অসুবিধা দেখা দিলে কল্যাণ ডেস্কের কর্মকর্তাদের সাহায্য নিন।

৪। বিদেশে যাওয়ার পর কোন অসুবিধা হলে : 
বিদেশে যাওয়ার পর কোন অসুবিধায় পড়লে সেই দেশের নিয়ম অনুযায়ী শ্রম আদালতে যান।
বিদেশে চাকরি বা ব্যক্তিগত কোন সমস্যায় পড়লে সেই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এটাশের সাথে যোগাযোগ করুন। শ্রম এটাশে সমস্যার সমাধান করতে না পারলে জনশক্তি ব্যুরোর মহাপরিচালকের সাথে যোগাযোগ করুন।
অন্যান্য সহযোগিতার জন্যও বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জনশক্তি ব্যুরোর সাথে যোগযোগ করুন।

৫। সচরাচর জিজ্ঞাসা:
প্রশ্ন ১: বিদেশে চাকরি বা ব্যক্তিগত বিষয়ে কোন সমস্যা হলে কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে?

উত্তর: বিদেশে চাকরি বা ব্যক্তিগত কোন সমস্যায় পড়লে সেই দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এটাশের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

প্রশ্ন ২: সার্বিক সহযোগিতার জন্য কার সাথে যোগাযোগ করতে হবে?

উত্তর : সার্বিক সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ দূতাবাস এবং জনশক্তি ব্যুরোর সাথে যোগযোগ করতে হবে।

এ ধরনের আরও পোস্ট
১। বিদেশে যাওয়ার ফাঁদে পড়ে ২০ যুবক নিঃস্ব
২। বিদেশে জেতে আপনি কত টাকা দিচ্ছেন ? 
৩। Varified your vissa with website (আনার ভিসার সত্যত... 

20110725

সুস্থ জীবন কাটাতে চান? নাকডাকা আগে সারান


নাসিকা গর্জন৷ যাকে নিয়ে আমরা হাসিঠাট্টা করে থাকি৷ সেই নাকডাকা ব্যাপারটা যে কত ভয়ংকর হতে পারে, তাই জানালেন জার্মানির গবেষকরা৷ সুস্থ জীবন যাপনের জন্য আগে এটাকে বন্ধ করা প্রয়োজন৷
রোজ কত কী ঘটে যাহা তাহা.. / এমন কেন সত্যি হয়না আহা! রবি ঠাকুরের এই কবিতাটি অবশ্যি অন্য কারণে লেখা হয়েছিল৷ কিন্তু এই যে মানুষের বদভ্যাস৷ উদাহরণ, নাক ডাকা, নিঃশ্বাসের শব্দ, শরীর থেকে তৈরি হওয়া আরও কিছু শব্দটব্দ, এসব যদি না থাকত? তাহলে জীবনটা আরও নিরাপদ হত না কী! কিন্তু সেটা সত্যি হয়না৷ আর সেসব ভুলভাল কারণেই প্রতি বছর প্রচুর যুগল, অসংখ্য দম্পতি হারিয়ে ফেলে ভালোবাসা৷ চলে যায় বিচ্ছেদের পথে৷ দেখা দেয় হাজারো দুঃখ বিষাদ, এই জীবনে৷

তারপরেও বিজ্ঞান বলছে, ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা মানেই অসুস্থতা, তা কিন্তু নয়৷ বার্লিনের শারিটে ইউনিভার্সিটির স্লিপ মেডিসিন বিভাগের প্রধান গবেষক আলেক্জান্ডার ব্লাউ বেশ দীর্ঘ গবেষণার পর একথা জানিয়েছেন৷ তাঁর বক্তব্য, অনেক ক্ষেত্রেই নাকডাকা কোন একটা অসুস্থতার লক্ষণ৷ কিন্তু সব ক্ষেত্রে সেটা বাস্ততবসম্মত নয়৷

কিন্তু ঘুমের মধ্যে কেন ডাকে আমাদের নাক? নাক কান ও গলার সমস্যা নিয়ে জার্মান গবেষণাকেন্দ্র ডিজিএসএম- এর তরফে ইয়ান লোয়লার বলছেন, নাকের হাড়ের গঠনে বিচ্যুতি থেকে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মদ্যপান, নাক ডাকার কারণ এক নয়, বহু৷ সেগুলোর ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, যে সমস্ত ব্যক্তির নাক ডাকে বিস্তর পরিমাণে, তাঁদের কিন্তু সতর্ক হওয়া দরকার৷ কারণ, এই নাক ডাকা এমনকি বড়মাপের অসুস্থতাও ডেকে আনতে পারে!
কীভাবে, নাক ডাকা থেকে অসুস্থতা? ডিজিএসএম- এর গবেষণা বলছে, যে সব মানুষ ঘুমের মধ্যে বিস্তর পরিমাণে নাক ডাকায় ভোগেন, তাঁদের চিকিৎসায় পরিভাষায় বলা হয়, ম্যালিগন্যান্ট স্নোরিং৷ আরও বিশদে বললে অবস্ট্রাক্টিভ স্লিপ আপনিয়া (Obstructive Sleep Apnea) বা সংক্ষেপে ওএসএ৷ এই ওএসএ-র শিকার যাঁরা, তাঁদের অনেকেই ভোগেন হৃদযন্ত্রের সমস্যায়৷ এঁদের মধ্যে কারও যদি থাকে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিসের মত রোগ, তাহলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়৷ সেক্ষেত্রে ঘুমের মধ্যে নাক ডাকতে ডাকতে অনেক সময় ত্রিশ সেকেন্ড পর্যন্ত কোন অক্সিজেন শরীরে পৌঁছয় না সেই ব্যক্তির৷ রক্তে কার্বনের পরিমাণ বাড়তে থাকে৷ সেটা তো মস্ত এক জটিলতা৷

এ বিষয়েই সতর্কতা শুনিয়েছে ডিজিএসএম৷ তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা এ ধরণের ওএসএ- তে ভুগছেন, সচরাচর সারারাত নাক ডেকে ঘুমিয়েও পরের দিনটা তাঁরা অবসন্ন বোধ করেন, ঝিমুনি আসে, কাজে ছন্দ পান না৷ তার কারণটাও ওই রক্তে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়৷ এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা তাঁদের জন্য জরুরি৷ ডিজিএসএম- এর সেটাই পরামর্শ৷

দেখা গেছে, শিল্পোন্নত দেশগুলিতে শতকরা ৫০ জন পুরুষ আর ৩০ জন মহিলা নিয়মিত নাক ডাকেন ঘুমের সময়ে৷ তাঁদের মধ্যে জটিল নিঃশ্বাসের সমস্যায় ভোগেন ২০ শতাংশ পুরুষ আর ১০ শতাংশ মহিলা৷ এই সমস্যা দূর করার উপায়ও বাতলেছে ডিজিএসএম৷ বলেছে, প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যাওয়াটা জরুরি৷ ঘুমের আগে কোন অবস্থাতেই অ্যালকোহল পান না করা দরকার এবং সেইসঙ্গে চিকিৎসা তো বটেই!

নাসিকা গর্জন নিয়ে অনেক হাসিঠাট্টা করে থাকি আমরা৷ কিন্তু, সে যে এমন সমস্যার খনি, তা কে-ই বা জানত? সুতরাং, আর হাসাহাসি নয়, এবার বরং প্রয়োজন এই নাকডাকা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো৷ কেউ নাক ডাকে, এটা স্রেফ মজার বিষয় নয়৷ এর থেকে অনেক রোগেরও সৃষ্টি হতে পারে৷ তাই ভালো করে ঘুমোতে চান, সুস্থ হয়ে বাঁচতে চান, তো নাকডাকা আগে কমান৷ এমন একটা ধুয়ো তুলে দেওয়াটা মনে হয় সবার আগে দরকার৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারূক

20110724

torrent সটওয়্যার ইউজ করে কিভাবে ফাইল ডাউনলোড ও আপলোড করাজায় ২

আপনারা হয়তো যেকোনো torrent সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলেছেন । যদি না খুলে থেকেন তাহলে torrent সাইটে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য  এই পোস্ট টি দেখতে পারেন ।   প্রথমে আপনার অ্যাকাউন্ট এ লগিং করতে হবে । তারপর Index এ ক্লিক করুন । Categories থেকে যা ডাউনলোড করতে চান তা সিলেক্ট করুণ । যেমন Movies ।

যে ফাইল টি ডাউনলোড করতে চান তার উপর ক্লিক করুণ ।

ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করুণ । ডেক্সটপে torrent file নামে একটা ফোল্ডার বানিয়ে উক্ত ফোল্ডারে torrtnt file  টি সেভ করুণ । 
তারপর সেভ করা torrent file টির উপর ডাবল ক্লিক করুণ । 


যে খানে ডাউনলোড ক্রিত ফাইল টি সেভ করতেচান তা সিলেক্ট করে OK বাটনে ক্লিক করুণ । 


ফাইল টি ডাউনলোড শুরু হবে । আশা করি torrent file use করে কিভাবে ডাউনলোড করতে হয় তা বুজতে পেরেছেন,  তার পরেও বুজতে সমস্যা হলে কি সমস্যা তা comments এ লিখুন । সমাধান দেয়ার চেষ্টা করব । 

20110721

রক্ত সংগ্রহেরে পূর্বে যা জানা জরুরি


রক্ত বেচাকেনা আইন করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আপনি যখন কারও জন্য রক্ত সংগ্রহ করতে কোনো ব্লাড ব্যাংকে যাবেন, আগে জানুন সেটি বৈধ কি না। তবে সবচেয়ে ভালো হয়, নিজের পরিচিতি কারও কাছ থেকে রক্ত নেওয়া। এ ছাড়া আপনি প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্তের জন্য সাহায্য নিতে পারেন স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সারা দেশে সরকারি ১১৬টি এবং বেসরকারি ৩৭টি রক্ত পরিসঞ্চালনকেন্দ্র আছে। সরকারিগুলো মূলত সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে গড়ে উঠেছে। তবে সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে রোগীর পক্ষ থেকে রক্তদাতা চাওয়া হয়।

খেয়াল রাখবেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক জলি বিশ্বাস বলেন, অবশ্যই পেশাদার রক্তদাতার রক্ত পরিহার করতে হবে। এ সময় রক্তদাতার যেসব বিষয় পরীক্ষা করা দরকার বলে তিনি জানান—
এইচআইভি-১; এইচআইভি-২ (এইডস), হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, ম্যালেরিয়া।
কেউ যদি কোনো ব্লাড ব্যাংক থেকে রক্ত নেন, দেখতে হবে ওই রক্ত ওপরের রোগ বা রোগের জীবাণুমুক্ত কি না।

কয়েকটি ব্লাড ব্যাংকের খোঁজ বেসরকারি ৩৭টি রক্ত পরিসঞ্চালনকেন্দ্রের বেশির ভাগই রাজধানী ঢাকায়। নিচে এগুলোর কয়েকটির যোগাযোগের ঠিকানা দেওয়া হলো—
 এ্যাপোলো হাসপাতাল
প্লট-৮১, ব্লক-ই, বসুন্ধরা আ/এ। ফোন-৮৪০১৬৬১।
 ল্যাবএইড ব্লাড ব্যাংক
বাড়ি-১, সড়ক-৪. ধানমন্ডি।
ফোন: ৯৬৭৬৩৫৬।
 স্কয়ার হাসপাতাল
১৮/এফ, পশ্চিম পান্থপথ।
ফোন-৮১৫৯৪৫৭।
 সিটি হাসপাতাল লিমিটেড
১/৮, ব্লক-ই, লালমাটিয়া।
ফোন-৮১৪৩৩১২।
 ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড
প্লট-১৫, সড়ক-৭১, গুলশান-১।
ফোন-৮৮৩৬০০০।
 কিডনি ফাউন্ডেশন
বাড়ি-৬, সড়ক-৮, ধানমন্ডি।
ফোন-৮৬৫৩৪১০।
 আদ-দ্বীন হাসপাতাল
২ বড় মগবাজার। ফোন-৯৩৫৩৩৯১।
 ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান
১২২, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, শাহবাগ। ফোন-৯৬১১৪১।
 বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
বাড়ি-৩৫, সড়ক-১৪/এ, ধানমন্ডি। ফোন-৯১১৮২০২।
 বারডেম হাসপাতাল
১২২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, শাহবাগ। ফোন- ৮৬১৬৬৪১।
আপনি যদি প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্তদাতা খুঁজে না পান, তবে যোগাযোগ করতে পারেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠনগুলোর সঙ্গে। তারা কোনো টাকা-পয়সা ছাড়াই রক্তের ব্যবস্থা করে দেবে। তাদের কাছে স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে আগ্রহীদের তালিকা থাকে।
 বাঁধন
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ফোন-৮৬২৯০৪২।
 কোয়ান্টাম
১/১ পাইওনিয়র সড়ক, কাকরাইল। ফোন-৯৩৫১৯৬৯।
 সন্ধানী
ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখা।
ফোন-৯৬৬৮৬৯০।
 রেড ক্রিসেন্ট
৭/৫ আওরঙ্গজেব সড়ক, মোহাম্মদপুর। ফোন-৯১১৬৫৬৩।

পরামর্শ
কোনো ব্লাড ব্যাংক থেকে সংরক্ষিত রক্ত নেওয়ার সময় নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে। রক্ত কবে সংগ্রহ করা হয়েছে, এর ল্যাব নম্বর, গ্রুপের নাম— এসব তথ্য রক্তের ব্যাগে থাকতে হবে। কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়া রক্ত নেবেন না। এমনকি আপনজনেরও না। রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়াটি অবশ্যই কোনো দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্টের দ্বারা সম্পন্ন করতে হবে। আর তত্ত্বাবধানে থাকবেন একজন চিকিৎসক।

সাইদ আরমান

জানা ভালো (টাইলসের ঘর ঝকঝকে তকতকে পচ্ছিন্ন রাখতে)


বাথরুম, রান্নাঘরসহ অন্যান্য ঘরেও আজকাল টাইলসের ব্যবহার বাড়ছে। টাইলসের সুবিধা হলো, এতে পানি পড়লে মোজাইকের মতো দাগ ধরার আশঙ্কা নেই। তবে অনেকেরই অভিযোগ, টাইলস পরিষ্কার রাখা বেশ ঝামেলার।
‘টাইলসের ঘর ঝকঝকে তকতকে পচ্ছিন্ন রাখতে হবে। রং জ্বলে ফ্যাকাসে কিংবা দৃষ্টিকটু যেন না হয়ে যায়, সে জন্য প্রতিদিন পরিষ্কার করে রাখতে হবে। পর্যাপ্ত যত্ন করলে টাইলসের টিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি।’ টাইলসের ঘরের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বলছিলেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রীনাত ফাওজিয়া।
যা করতে হবে
 প্রতিদিন ঘর পানি দিয়ে মুছতে হবে।
 কোনো ধরনের কালচে দাগ যেন না হয়, সে জন্য প্রতিদিনই পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
 টাইলসের ওপর যেন পানি জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
 সাধারণত টাইলসের জোড়া লাগানো স্থানের কোনায় কোনায় ময়লা জমে কালচে দাগ পড়ে, তাই সপ্তাহে অন্তত এক দিন ডিটারজেন্ট পাউডার গোলা পানি কিংবা ফোমে সাবান বা লিকুইড ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে।
 রান্নাঘরের টাইলসে ময়লা পড়ার আশঙ্কা থাকে সবচেয়ে বেশি। তাই পরিষ্কারক তরল দিয়ে সব সময় কিংবা রান্নার পরপরই পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
 প্রতিদিন ঘর মোছার মতো শুকনো পরিষ্কার কাপড় পানিতে ভিজিয়ে ঘরের প্রতিটি কক্ষ পরিষ্কার করে রাখতে হবে। তবে লক্ষ রাখতে হবে, পানি দিয়ে পরিষ্কার করার সময় মেঝে পিচ্ছিল হয়ে না যায়।
 তেল, চর্বিজাতীয় দাগ পড়ে টাইলস যেন নষ্ট না হয়, সে জন্য যেসব স্থানে দাগ পড়বে সঙ্গে সঙ্গে তা সাবানের পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
 রোগজীবাণুমুক্ত রাখতে সপ্তাহে অন্তত একবার স্যালভন পানির সঙ্গে মিশিয়ে ঘর পরিষ্কার করতে হবে।
 দেয়ালের সিরামিক-টাইলস পরিষ্কার করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন সুতির শুকনো কাপড়।
বাজারে বৈচিত্র্যপূর্ণ টাইলসের বাহার রয়েছে; তাই যে ধরনের টাইলস ঘরে ব্যবহার করুন না কেন, যত্ন নিলে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে আর স্থায়ীও হবে বেশি দিন।

নাঈমা আমিন

20110720

আপনি আপনার চারপাশ সম্পর্কে কতটা সচেতন


রাস্তা দিয়ে অন্যমনস্ক হয়ে হাঁটছেন। হঠাৎ খেয়াল হলো, ফুটপাতে জমে থাকা কোনো ময়লার ওপর আপনার পা পড়েছে। কেমন লাগবে?
প্রতিদিনই আমাদের দায়িত্বহীনতায় বাড়ছে পরিবেশদূষণ। অথচ একটু সতর্ক থাকলেই আমরা চারপাশটাকে রাখতে পারি পরিষ্কার। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের অপেক্ষা না-ই বা করলাম, নিজেরা কি এগিয়ে আসতে পারি না নিজেদের চারপাশটা সুন্দর রাখতে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য চালু হয় ‘হেলদি ক্যাম্পাস’ নামের উদ্যোগ। এর মূল কথা হলো, ময়লাগুলো এমনভাবে ফেলা হোক, যাতে তা পরে রিসাইকেল করা যায়। এ জন্য ক্যাম্পাসে ময়লা ফেলার আলাদা বাক্সও রাখা হয়েছে। এর উদ্যোক্তা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তৌহিদা রশিদ বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষা করার ক্ষেত্রে আমাদের আচার-আচরণ বেশ বড় একটা ভূমিকা রাখে। সারা দিন পর কিছুটা সময়ের জন্য অন্তত ভাবতে হবে যে আজকে সারা দিন পরিবেশের জন্য কী করা হলো; কোনো কিছু ব্যবহার এতটুকু পরিবেশ নষ্ট করল কি না, আমাদের হাত দিয়ে একটা ময়লাও কোথাও পড়েছে কি না। কাছাকাছি কোথাও ময়লা ফেলার ব্যবস্থা না থাকলেও “আমি এখানে-সেখানে ময়লা ফেলব না”—এটা হতে হবে নিজের কাছেই নিজের কমিটমেন্ট। যেগুলোকে আমরা ময়লা-আবর্জনা বলি, আসলে সেগুলো তা নয়, যখন ঠিক জায়গামতো ফেলা হয় না, তখনই সেটা ময়লা-আবর্জনা হয়ে যায়। পরিবেশদূষণ এখন রীতিমতো একটা দুর্যোগ হয়ে গেছে। ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাস মোকাবিলার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিই, কারণ, এতে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হই। কিন্তু মানুষের বিভিন্ন আচার-আচরণ ধীরে ধীরে পরিবেশকে নষ্ট করছে। তাই একে একটা বড় দুর্যোগ হিসেবে এর প্রতিরোধ ও প্রতিকার করতে হবে।’
তাঁর মতে, ব্যক্তিগতভাবে যে কাজগুলো আমরা করতে পারি সেগুলো হলো—
 নির্ধারিত স্থানে বা নির্দিষ্ট জায়গায় ময়লা ফেলা।
 নিজের কাছে সব সময় মাঝারি সাইজের প্যাকেট রাখা, যাতে ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা খুঁজে না পেলেও যেকোনো কিছুর খোসা বা অপ্রয়োজনীয় কাগজ যেন প্যাকেটে রাখা যায় এবং পরবর্তী সময়ে নির্ধারিত জায়গায় প্যাকেটটি ফেলে দেওয়া যায়।
 রাস্তায় কোনো কিছু ফেলা থেকে সব সময় বিরত থাকতে হবে।
 যেকোনো অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, যেন পর্যাপ্ত ময়লা ফেলার ঝুড়ি সেখানে থাকে।
 রাস্তার পাশে প্রাকৃতিক কাজ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।
 যেকোনো জায়গায় কফ বা থুতু ফেলা যাবে না।
 এমন কোনো কাজ করবেন না, যেটা উচ্চ শব্দ সৃষ্টি করে এবং আপনার আশপাশের মানুষের বিরক্তির কারণ হয়।
 বাড়ির গৃহকর্মী ও শিশুদের জায়গামতো ময়লা ফেলার বিষয়টি বুঝিয়ে বলতে হবে।
আমাদের সচেতনতাই পারে এই সুন্দর পরিবেশকে রক্ষা করতে। আমরা সবাই জানি এ কথাটি, তবু মানার ক্ষেত্রে এসে আঙুল তুলে অন্যজনকে দেখিয়ে দিই, ‘সে তো মানছে না, আমি কেন মানব!’
অন্য কারও জন্যঅপেক্ষা কেন। আমি যে সচেতন নাগরিক, এই উদাহরণ তৈরি করে সবাইকে দেখিয়ে দিই না!

মারুফা ইসহাক

torrent সফটওয়্যার ইউজ করে কিভাবে ফাইল ডাউনলোড ও আপলোড করাজায়


torrent সফটওয়্যার ইউজ করে ফাইল ডাউনলোড করার জন্য প্রথমে আমাদের torrent ফাইল টি ডাউনলোড করে নিতেহবে । ডাউনলোড করার জন্য এখানে ক্লিক করুণ। এটি একটি ছোট ফাইল । ডাউনলোড হলে ডাবল ক্লিক করে ফাইল টি Install করুণ । আপাতত কাজ শেষ । torrent সফটওয়্যার ইউজ করে ফাইল ডাউনলোড করতে হলে অবশই যে কোন একটি বা একাধিক torrent ওয়েব সাইট এর সদস্য হতে হবে । আমার জানা মতে ভালো দুতি torrent সাইট হল
১ । AzibTorrent
২। DarueChiniBD
আমার এ দুটো সাইটেই অ্যাকাউন্ট আছে তাই আমি এ দুটো কেই ভালো বললাম । এর চাইতে ভাল সাইট ও থাকতে পারে । যাহোক আজ আমি এ দুটো সাইট সম্পর্কে বলব ।


AzibTorrent সাইটটি  একটি নতুন torrent সাইট । তবে প্রতিদিনি এর ভিজিটর সংখ্যা বাড়ছে । আমি আজকের দিনের Azibtorrent এর Visitor ও কালেকসন  সমুহর একটি চিত্র দিলাম ।
AzibTorrent সাইট টিতে অ্যাকাউন্ট খোলা খুবি সাহজ । AzibTorrent সাইট টিতে ক্লিক করে সাইট টিতে জান এবং Create Account এ ক্লিক করে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন । এটা একটা E-mail খোলার মতো সহজ । আশা করি আপনারা সঠিক ভাবে Account  খুলতে পারবেন ।


AzibTorrent বর্তমান মেম্বার 
Azibtorrent শেয়ারিং ফাইল সমুহ  


DarueChiniBD  বর্তমান বাংলাদেশে একটি বেশ পপুলার torrent সাইট। প্রথম অবস্থায় সাইট টিতে Account খোলা সহজ থাকলেও এখন Account খুলতে হলে Invitation প্রয়োজন । Invitation এর জন্য DaruechiniBD এর মোডারেটর পিয়াল ভাই কে Facebook এ এড করে আপনার মেইল নাম্বার দিয়ে Invitation এর জন্য Request পাঠাতে পারেন, তার মেইল নাম্বারে মেইল করে Invitation এর জন্য Request পাঠাতে পারেন। পিয়াল ভাই এর মেইল pial@daruchinibd.com । আপনার মেইলে Invitation এলে Invitation লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনাকে DaruechiniBD এর Create Account পেইজে নিয়ে যাবে ।

Daruechinibd Current user

daruechinibd current file sharing

বাকি টুকু নিয়ে আরেকটা পোস্ট করাহয়েছে । বাকিটুকু দেখতে এখেনে ক্লিক করুণ । 


20110719

রান্না ঘড় টুকিটাকি ২ (গৃহস্থালির )

  
গৃহস্থালির টুকিটাকি
* ছোট মাছে সহজে আঁশ ছাড়ানোর জন্য মাছের গায়ে অল্প আটা মাখিয়ে আঁশ ছাড়ান।
* সবজির খোসা, চা-পাতা, মাছের নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি কিছুই ফেলে দেবেন না। এগুলো আপনার গাছের জন্য দারুণ সার।
* খেজুরের গুড়ের পায়েস করতে গিয়ে দেখা যায় দুধ জমে যায় কিংবা ফেটে যায়, দুধের সঙ্গে মেশানোর আগে গুড় পানি দিয়ে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তারপর মেশান। তাহলে দুধ জমে যাওয়ার কিংবা ফেটে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
* করোলা ভাজা খাওয়ার সময় একটু আচারের তেল দিয়ে খাবেন, তাহলে তেতোভাবটা কম লাগবে এবং খেতে সুস্বাদু হবে।
* সব ধরনের আচারে একটু তেঁতুল মিশিয়ে নিন, তাহলে আচার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রাখা যাবে এবং আচারটা মজাদারও হবে।
* মাছ নরম হয়ে গেলে ভাজার সময় একটু ময়দা কিংবা চালের গুঁড়া মাখিয়ে ভাজুন। মাছ সহজে ভেঙে যাবে না এবং মচমচে থাকবে।
* রান্নার ১০ মিনিট আগে কিছুক্ষণ মাছ ভিনেগারে ভিজিয়ে রাখুন। আঁশটে গন্ধ চলে যাবে।
* ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবু কেটে রেখে দিতে পারেন। গন্ধ চলে যাবে।
* গরম ভাতের মধ্যে কালিজিরা কিংবা জিরার গোটা ছিটিয়ে ভাত পরিবেশন করতে পারেন। আলাদা স্বাদ পাবেন। এ ছাড়া লেবুর মতো জাম্বুরা ভর্তা ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। আপনার রসনায় ভিন্ন স্বাদ আনবে।
* গরম ভাতে নারিকেলের দুধ মিশিয়ে পরিবেশন করুন। আলাদা স্বাদ পাবেন।
* কোনো ভাজাভুজি করার সময় ময়দায় একটু লেবুর রস দিয়ে নেবেন। এতে ভাজাটা মচমচে হবে।
* পাউরুটি, জিলাপি, কিংবা বসনিয়া পরোটা তৈরিতে ইস্ট লাগে। আপনি ইচ্ছা করলে বাসায় তৈরি করতে পারেন ইস্ট। ময়দা গুলে তিন দিন পচিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। পাটায় পিষে গুঁড়া করে রেখে দিন। যখন প্রয়োজন হবে এখান থেকে এক চিমটি দেবেন।
কাজী সানজিদা আফরিন

ঘারোয়া টুকিটাকি (পোকা মাকড়ের উপদ্রপ থেকে রক্ষার উপায়)


ঘরে নানা পোকামাকড়ের উপদ্রব খুব সাধারণ একটি সমস্যা। তবে এটি শুধু ঝামেলাই বাড়ায় না, নানা রোগও ছড়ায়। কীভাবে ঘরে পোকার উপদ্রব কমানো যায় তার পরামর্শ দিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের গৃহ ব্যবস্থাপনা ও গৃহায়ণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রীনাত ফওজিয়া।
বাজারে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়। আরশোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চক, ইঁদুরের হাত থেকে রেহাই পেতে লাল গমের দানার মতো লানির্যাট ওষুধ, জাঁতাকল, বাক্সকল ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যান্য পোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় মারার স্প্রে। ‘এসব ছাড়াও কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যার সাহায্যে সহজে পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।’ বলছিলেন রীনাত ফওজিয়া। এগুলো হল-
আলমারিতে বা কাপড় রাখার যেকোনো স্থানে নিমপাতা শুকনো করে কাপড়ে বেঁধে কিংবা কালোজিরা কাপড়ের পুঁটলি করে রেখে দিলে কাপড়চোপড়ে পোকা আক্রমণ করে কম।
আবার অনেক সময় কাপড়ের ভেতর ন্যাপথলিন ব্যবহার করলে পোকা ধরার আশঙ্কা কম থাকে এবং কাপড়ে সুগন্ধও থাকে।
মাঝেমধ্যে রোদে দিলে কাপড়ে পোকা ধরে না।
রান্নাঘরে চিনির কৌটায় দু-একটা লবঙ্গ রেখে দিলে পিঁপড়ের উপদ্রব কম হয়। ঘরের দেয়ালে উইপোকার উপদ্রব বেশি দেখা যায়। এ থেকে রেহাই পেতে দেয়ালের যে স্থান থেকে উইপোকা বের হয়, সেখানে কর্পূরের গুঁড়ার সঙ্গে লিকুইড প্যারাফিন মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে।
শুকনো নিমপাতার গুঁড়ো রান্নাঘরের যেকোনো স্থানে ছড়িয়ে রাখলে পোকার উপদ্রব কম হয়ে থাকে।
যেকোনো খাবার পোকার হাত থেকে রক্ষার জন্য খাবার টেবিলের ওপর যেন কোনো লাইট না রাখা হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। অবশ্যই বাড়ির নকশা করার সময় ডাইনিং রুমের খাবার টেবিলের ওপর কিংবা রান্নাঘরে চুলার ওপর লাইটের ব্যবস্থা রাখা যাবে না। কারণ, কোনো কোনো ঋতুতে লাইটে পোকার উপদ্রব বেশি থাকে।

রেহাই পেতে…
ঘরকে পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে রক্ষা করতে আরও কিছু ঘরোয়া ব্যবস্থার কথা বলেছেন কৃষিবিদ পঙ্কজ কান্তি মজুমদার। তেলাপোকা, ইঁদুর, মশা, মাছি—এসব পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে অবশ্যই প্রতিটা ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
আমাদের বাসাবাড়িতে সাধারণত কালো ইঁদুরের উপদ্রব বেশি হয়ে থাকে। যেকোনো ধরনের ইঁদুরের হাত থেকে রেহাই পেতে ইঁদুরের গর্তের মুখে মরিচের ধোঁয়া দেওয়া যেতে পারে।
এ ছাড়া ইঁদুরের গর্তে পানি ঢাললে ইঁদুরের উপদ্রব কমে।
পোকামাকড় মারার ওষুধ অবশ্যই রাতে দিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আবার পরিষ্কার করতে হবে।
ইঁদুর মারার ওষুধ খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। তাহলে দ্রুত ইঁদুর মারা যাবে।
ঘরের যেখানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকে সেখানে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
ঘর থেকে মাছি দূর করতে গুড়ের সঙ্গে ফিনিশ পাউডার মিশিয়ে দিতে হবে।
ঘর থেকে মশা-মাছি দূর করতে স্যাভলন দিয়ে ঘর পরিষ্কার করতে হবে। আর মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে ঘরে যেন আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
বাসাবাড়ির আশপাশের নর্দমা আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে।
গন্ধযুক্ত কোনো খাবার রাখা যাবে না ঘরে, তাতে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়বে।
সন্ধ্যার দিকে ধূপের ধোঁয়া দিলে মশার উপদ্রব কমে যায়।
অকেজো কোনো জিনিস ঘরে রাখা যাবে না।
পোকামাকড়ের উপদ্রব যেন না হয়, এ জন্য কীটনাশক তো ব্যবহার করতেই পারেন। তবে এসব আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই ঘরোয়া ব্যবস্থাগুলো নিয়ে ঘরকে পোকামাকড়ের উপদ্রবমুক্ত রাখার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

নাঈমা আমিন

20110718

আপনি কি তেলাপকা দেখে ভয়পান


আমার নাতনি তেলাপোকা দেখে ভীষণ ভয় পায়। ভয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে। ভয় পায়, যদি শরীরে বসে? বিচ্ছিরি! যদি কামড় দেয়? আমিও তেলাপোকাকে ভয় পাই। তবে শরীরে বসা বা কামড়ের ভয় নয়, ভয় অন্য কারণে। তেলাপোকা যে অনেক রোগের বাহক! নানা রকমের পেটের পীড়া, আমাশয়, ডায়রিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়া, টাইফয়েড, লিভারের প্রদাহ-জন্ডিস, পোলিও—কত রোগের জীবাণুরই না বাহক তেলাপোকা!
তেলাপোকা মূলত সর্বভুক। তবে খাবারের ময়লা-আবর্জনা আর বাথরুমের ময়লাই এদের প্রিয় খাবার। এসব ময়লা-আবর্জনা থেকে এদের গায়ে লেগে যায় নানা জীবাণু। পেটের ভেতরেও ঢুকে যায় অজস্র। তারপর রাতের আঁধারে যখন বসে কোনো খাবারের ওপর, তখন তেলাপোকার পা-পাখা-শরীর থেকে খাবারে লেগে যায় অসংখ্য জীবাণু। তা ছাড়া, খাবারের ওপর ঘোরাফেরা করার সময় খাবার খাওয়ার পাশাপাশি খাবারের ওপর মলত্যাগ আর বমিও করে তেলাপোকা। তেলাপোকার এসব মল আর বমির মাধ্যমেও খাবারে মিশে যায় হাজারো জীবাণু। জীবাণুমিশ্রিত এসব দূষিত খাবার খেলেই হয় নানা অসুখ। এ ছাড়া তেলাপোকার শরীর থেকে খসে যাওয়া ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ আর ঘরের ধুলোবালিতে মিশে থাকা তেলাপোকার শুকনো মল হতে পারে হাঁপানির কারণ। আমাদের বাড়িঘরের রান্নাঘরে লুকোনো স্থানেই এদের বসবাস বেশি। দিনের বেলায় লুকিয়ে থাকে রান্নাঘরের বেসিনের নিচে, ময়লার বালতিতে, খাবার রাখার আলমারিতে (মিটসেফ) রাখা জিনিসের ফাঁকে ফাঁকে, আলমারির পেছনে, ফ্রিজের পেছনে। এ ছাড়া থাকে বাথরুমের প্যানের গভীরে, বাসাবাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়া মলের বা ময়লার পানির পাইপে। থাকে বইয়ের আলমারিতে বইয়ের ফাঁকে। খাটের বাক্সে। যেকোনো অন্ধকার লুকোনো স্থানে। এসব জায়গা থেকে রাতের আঁধারে বের হয়ে আসে। রাতে রান্নাঘরের মেঝে বা খাবার টেবিলে খাবারের উচ্ছিষ্ট থাকলে, বেসিনে এঁটো থালাবাসন রেখে দিলে তাতে রোগজীবাণু বংশবৃদ্ধি করে। আর এসব খাবার খেতে থাকে তেলাপোকা। বাহক হয় নানা জীবাণুর।
রাতে খাবার টেবিলে খাবারের উচ্ছিষ্ট যেন না থাকে। পরদিন সকালে ধোয়ার আশায় রাতভর বেসিনে যেন না থাকে এঁটো থালাবাসন। পরিষ্কার রাখতে হবে তেলাপোকা লুকিয়ে থাকতে পারে এমন সব জায়গা। রান্নাঘরের মেঝে ও বেসিন রাখতে হবে ঝকঝকে তকতকে। ঢেকে রাখতে হবে রান্নাঘরের ময়লার বালতি। পরিষ্কার করতে হবে প্রতিদিন। রান্নাঘরের দা, বঁটি, কাটিং বোর্ড ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে। মিটসেফ পরিষ্কার করতে হবে প্রতি সপ্তাহেই। টেবিলের ড্রয়ার, খাটের বাক্স, বুকসেলফ—প্রতি সপ্তাহেই নজরদারি করতে হবে। খাবার-দাবার রাখতে হবে ফ্রিজে। বাইরে রাখলে অবশ্যই ঢেকে রাখতে হবে। বাথরুম রাখতে হবে পরিষ্কার। বেশি উপদ্রব হলে তেলাপোকা মারার চক বা অন্য ওষুধ ব্যবহার করতে হবে মাঝে মধ্যে।

মো. শহীদুল্লাহ
বিভাগীয় প্রধান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগ,
কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ

মুখের সমস্যা ব্ল্যাক হেডস


ঋতুটা বসন্ত, আর এই ঋতুতে সুন্দর আবহাওয়া উপভোগের সঙ্গে ধুলোবালুর বিড়ম্বনাও সহ্য করতে হয়। ধুলোবালুর কারণে ত্বকে বেশ কিছু ধরনের সমস্যা হয়। তার মধ্যে ব্ল্যাক হেডস অন্যতম। ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়েরই নাকের ত্বকে ব্ল্যাক হেডস হতে পারে। ব্ল্যাক হেডস হলে নাকের ত্বকে কালো গুঁড়ি গুঁড়ি ছোপ পড়ে। ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেকখানি কমে যায়। আর প্রথম থেকে ব্ল্যাক হেডস দূর করার ব্যাপারে সচেতন না হলে নাকের ওপরের অংশ থেকে সারা ত্বকে ছড়িয়ে যেতে পারে।
হেয়ারোবিকস ব্রাইডালের স্বত্বাধিকারী রূপবিশেষজ্ঞ তানজিমা শারমিন বলেন, যেকোনো বয়সে ধুলোবালুর কারণে ব্ল্যাক হেডস হতে পারে। কৈশোর ও প্রৌঢ় বয়সে ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা বেশি দেখা যায়। মূলত মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে ব্ল্যাক হেডস হয়। ধুলোবালু ও ত্বকের মৃত কোষ জমে রোমকূপ বন্ধ হয়ে এ সমস্যা হয়। প্রথমে অনেকেই এই হালকা কালো ছোপ ছোপ দাগকে গুরুত্ব দেয় না। শুরুর দিকে ব্ল্যাক হেডসের ছিদ্র কম থাকে। সময়মতো যত্ন না নিলে এই দাগ সারা মুখে ছড়িয়ে যায়। সারা মুখে ছড়িয়ে পড়লে যতই তুলে ফেলা হোক না কেন, আবার দ্রুত সারা মুখে ছড়িয়ে যায়।
তবে এতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। ব্ল্যাক হেডস প্রতিরোধের কথাও বলেছেন এই রূপবিশেষজ্ঞ। সবচেয়ে সহজ উপায় হলো, ঘরে কয়েক ধরনের প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করা। পরিমাণমতো লেবুর রস, মধু, কর্ন ফ্লাওয়ার, ভিনেগার ও চিনি মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে মুখ, বিশেষ করে নাকের চারপাশের অংশ ম্যাসাজ করা যেতে পারে। আবার দুই চা-চামচ ডিমের সাদা অংশ, চন্দনের গুঁড়া, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে এই পদ্ধতিতে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। প্রতিদিন দুবার এই প্যাক ব্যবহার করলে ব্ল্যাক হেডস অনেকাংশে কমে যায়। চাইলে প্যাক তৈরি করে ফ্রিজে রেখে ব্যবহার করা যায়। প্যাক ব্যবহার শেষে মুখ ভালো করে ধুয়ে নাকের পাশে বরফ দিয়ে ঘষে নিলে ভালো হয়। যার ব্ল্যাক হেডসের প্রকোপ বেশি, সে চাইলে পার্লারে গিয়ে ১০ মিনিট ফেসিয়াল কিংবা রেগুলার ফেসিয়াল করতে পারে। এই ফেসিয়াল মাসে তিনবার পর্যন্ত করা যায়। এতে ত্বকের কোনো ক্ষতি হয় না। তবে খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ যত্নবান হওয়ার কথা বলেন বিউটিশিয়ান। খেতে হবে প্রচুর ফল আর পানি। এতে ব্ল্যাক হেডস কমে যাবে, ত্বক হবে সুন্দর আর আকর্ষণীয়।

সঠিক বন্ধু নির্বাচন


জীবনে চলতে গেলে বন্ধুর সান্নিধ্য চাই সবারই। আবার চলতি পথে ব্যস্ততা কিংবা জীবন ধারার অদল-বদলের কারণে অনেক বন্ধুকে হয়তো নেহাত অনিচ্ছাতেই হারিয়ে ফেলি আমরা। একইভাবে পরিবেশ আর পারিপার্শ্বিকতার কারণে কখনো কখনো সন্ধান করতে হয় নতুন বন্ধুত্বেরও। আর নতুন বন্ধু খোঁজার এই সময়টায় কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রাখতে না পারলে তা সময়ের পালাবদলে অনেকের জন্যই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। একজন ভালো বন্ধু পাওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো বন্ধুত্বের সম্পর্কের মাঝে কোনো ধরনের স্বার্থ কিংবা প্রাপ্তির চিন্তা মাথায় না রাখা। মনে রাখবেন স্বার্থের প্রয়োজনে করা বন্ধুত্ব আপনাকে একটা সময়ে লাভবান করলেও চূড়ান্ত বিচারে আপনাকে করে তুলতে পারে নিঃসঙ্গ। এ কারণে কোনো ধরনের প্রাপ্তির চিন্তা থেকে নয়, বরং নিজের ভালোলাগা আর ভালোবাসাগুলোকে ভাগাভাগি করে নেয়াই হোক বন্ধুত্বের প্রথম দাবি। দ্বিতীয়ত, বন্ধুত্বের মাঝে যেন ভুল বোঝাবুঝি বা মনোমালিন্য সহজেই স্থান করে নিতে না পারে সেজন্য নতুন করে বন্ধু হওয়ার মানসিকতাটুকু বোঝাও কম-বেশি জরুরি। এক্ষেত্রে শুধু যে সমমানসিকতাসম্পন্ন মানুষেরাই আপনার বন্ধু হবেন তেমনটা কিন্তু নয়, বরং নতুন বন্ধুর মানসিকতা যেমনই হোক না কেন তার প্রতি আপনার সহনশীলতা এবং আপনার মতের প্রতি তার সমর্থনই পারে একটা নির্ভেজাল বন্ধুত্ব গড়ে দিতে।

নতুন কারো সাথে বন্ধুত্ব গড়বার মাধ্যমে আপনি যেমন আপনার মনের কথা কিংবা কাজের পরিবেশের অনেক কথা ভাগাভাগি করে নিতে চান তেমনি আপনার বন্ধুটির মনেও একই রকম আকাঙক্ষা থাকাটা স্বাভাবিক। কাজেই নিজের কথা বলার পাশাপাশি বন্ধুর কথা শুনতে চাইবার মানসিকতাটাও জরুরি। আর এ প্রেক্ষাপটে খুব বেশি মাত্রায় আত্মকেন্দ্রিক কোনো মানুষের সাথে বন্ধুত্বে জড়ানোর আগে অবশ্যই তার সাথে আপনি কতটা মানিয়ে নিতে পারবেন সে বিষয়টুকু ভেবে দেখা দরকার।

বন্ধুত্বের যেমন সুনির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা হয় না তেমনি বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ধরাবাঁধা কোনো নিয়মের কথা বলা যায় না। তবে বন্ধুত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে বয়স, লিঙ্গ বা সামাজিক অবস্থান যেন মুখ্য হয়ে না দাঁড়ায় সেটি অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে। আবার বন্ধুত্ব হয়ে যাবার পর এ ধরনের চিন্তাও মাথা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। কেননা যাদের কাছে বন্ধুত্বের আবেগের চাইতে নিজের অবস্থান অনেক বেশি মুখ্য তাদের সাথে কখনও প্রাণখুলে বন্ধুত্বের আনন্দটুকু উপভোগ করা যায় না। আবার বন্ধুর ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে যারা খুব বেশি কৌতূহল দেখান বা বন্ধুর কোনো বিষয়ে যারা উপযাচক হয়ে অযাচিত উপদেশ বিলাতে ভালোবাসেন তাদেরকেও নতুন বন্ধু হিসেবে নির্বাচন করতে সতর্ক হতে হবে। সর্বোপরি নতুন বন্ধু হিসেবে কারো দিকে হাত বাড়াতে বা কারো বন্ধুত্বের ডাকে সাড়া দিতে তার মানসিকতা, বন্ধুর প্রতি তার মূল্যায়ন সম্পর্কেও কম-বেশি জানতে এবং বুঝতে হবে।

20110717

আপনিও পাবলিশার হন


আপনি চাইলে আপনার ভালো লাগা মন্দ লাগা , সুখের -দুখের আনন্দ অনুভুতি গুল এই সাইটে শেয়ার করতে পারেন। পাবলিশার হতে হলে একটি ইনভাইটেশন প্রয়জন । এ জন্য আপনাকে এই পোস্ট এর শেষে Comments হিসেবে আপনার E-mali টা লিখতে হবে। তার পর আপনার E-mail এ একটি Invitation যাবে , যা দেখতে চিত্রের মত ।পরবর্তীতে সুধু চিত্রে দেখান ভাবে স্টেপ ফলো করতে হবে। 





এর পড়, আপনার মেইলে আরেকটা মেইল Verification message jabe। ঐ লিঙ্কে ক্লিক করলে আপনার মেইল Verify হবে । মেইল টা দেখতে এরকম । 


 মেইল verify করা হলে নিচের মতো দেখাবে 
 আরপর আপনি হোমপেজ থেকে লগিং করতে পারবেন।

লগিং করার পড় আপনার ডাশবোর্ড  দেখাবে এমন 

চাইলে ০১৯২৬৯৬৯০৪৭ এই নুম্বেরে অথবা kholilurrhaman@gmail.com মেইলে আপনার E-mail পাঠালে ও আপনার মেইলে Invitation  চলে যাবে। সকলকে ধন্যবাথ।
মোঃ খলিলুর রহমান  

এবার দেখা হলে বলে দেব, স্ট্রেটকাট ভালোবাসি…

এবার দেখা হলে বলে দেব, স্ট্রেটকাট ভালোবাসি…
লিখেছিলেন কবি নির্মলেন্দু গুণ।
তখন দেখা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হতো। এখন তার দরকার হয় না। স্কাইপে ফ্লোরিডায় বসে ফরিদপুরের মেয়েকে বলে দেওয়া সম্ভব—ভালোবাসি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। একজন ছাত্র কথা বলতে চান কোনো এক সহপাঠিনীর সঙ্গে। নিয়ম হলো, এটা করতে হলে প্রক্টরের অনুমতি লাগবে। প্রক্টরের কাছে আবেদন করা হলো। কোনো একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দেওয়া হলো, এ দুজনের কথোপকথন পর্বে তিনি উপস্থিত থাকবেন। ড. আনিসুজ্জামান ১৯৫৩ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, তখন এই নিয়ম খানিকটা শিথিল করা হয়েছে। শৈথিল্যটা কী? ড. আনিসুজ্জামানের কাছ থেকে জানা গেল, প্রক্টর ছাড়াও অন্য শিক্ষকেরা শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থিনীর কথোপকথনের অনুমতি দিতে পারতেন। তারপর নাকি আস্তে আস্তে সেই কড়াকড়িও উঠে যেতে লাগল। তখন মেয়েটি হয়তো চার কদম এগিয়ে, পেছনে পেছনে হাঁটছেন ছেলেটি, কথাবার্তা সেরে নিচ্ছেন। সেখান থেকে আজকের প্রজন্ম। তারা কি বুঝবে কেন পাপিয়া সারোয়ার এই গান গেয়েছিলেন, ‘নাই টেলিফোন নাইরে পিয়ন নাইরে টেলিগ্রাম, বন্ধুর কাছে মনের খবর কেমনে পৌঁছাইতাম।’ ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে পড়ছেন, খেলছেন, কোচিং ক্লাস করছেন, পিকনিকে যাচ্ছেন, হইহল্লা করছেন। তাঁদের প্রত্যেকের হাতে একটা করে মুঠোফোন। কাউকে ভালো লাগলে সামনাসামনি মুখ ফুটে যদি বলা না যায়, একটা কল করলেই সেটা সেরে নেওয়া যাবে। তাতেও যদি বাধো বাধো ঠেকে, তাহলে এসএমএস করলেই তো ল্যাটা চুকে যায়। মনে কী দ্বিধা রেখে গেলে চলে, সে দিন ভরা সাঁঝে, যেতে যেতে দুয়ার হতে কী ভেবে ফিরালে মুখখানি— কী কথা ছিল যে মনে—রবীন্দ্রনাথের এই গান কি আর প্রাসঙ্গিক!
কিন্তু মনের কথা বলে ফেললেই সব ল্যাটা চুকেবুকে যায় না। বরং, সেটা থেকেই শুরু হতে পারে কাহিনির। এই পৃথিবীতে ৩০০ কোটি পুরুষ, ৩০০ কোটি নারী, এর মধ্যে দুজনের মধ্যে ঘটে যেতে পারে এক গূঢ় রসায়ন। আজকের দিনে অবশ্য একই এসএমএস—‘ঠিক করেছি সাবান ছাড়া, কোনো কাপড় কাঁচব না,/ ঠিক করেছি তোমায় ছাড়া একটা দিনও বাঁচব না’—৫ জনকে কি ২৫ জনকে পাঠানো যায়। তার মধ্যে তিনজন তো সাড়া দেবে। এর মধ্যে দুজনের সঙ্গে তো ব্যাটিং-বোলিং চালিয়ে যাওয়া যাবে।
তবুও সব ক্ষেত্রে ব্যাটে-বলে হয় না। প্রথম কথা, লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট হতে পারে, কিন্তু যাকে চেনো না, জানো না, তাকে প্রপোজ করে বোসো না। প্রাণ ফেটে গেলেও নয়। বরং কোনো একটা অজুহাত বের করে তার কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করো। তার সঙ্গে কথা বলো, মেশো, তাকে সময় দাও। তারপর একদিন নিজেই বুঝে ফেলবে তার চোখের ভাষা। সে তোমাকে চায়, নাকি চায় না। যদি চায় বলে মনে হয়, উপহার দাও, সময় দাও, তোমার জন্মদিনটিতে তুমি কেবল তার সঙ্গেই সময় কাটাতে চাও, বলো। তারপর এক ১৪ ফেব্রুয়ারিতে বলেই ফেলো, এই বন্দীই আমার প্রাণেশ্বর। আর যদি বোঝো, ওর দিক থেকে সাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা কম, তাহলে একবার আকারে-ইঙ্গিতে বলে দেখতে পারো। সাড়া পেলে তো ভালোই, না পেলে যেন কিছুই হয়নি, এমন ভাব করে চলতে থাকো। ‘কা তব কান্তা, পৃথিবীতে কে কাহার। যাহার জন্য চক্ষু বুজে বহিয়ে দিলাম অশ্রু সাগর, তাহারে বাদ দিয়েও দেখি বিশ্বভুবন মস্ত ডাগর।’ ওকে ছাড়াও তোমার পৃথিবী খুব ভালো চলবে। তাই বলে ওকে তোমার জীবনের শত্রু জ্ঞান কোরো না। ওকে তো তুমি মনে মনে ভালোই বাসো। খারাপ তো বাসো না।
হিসাব করে ভালোবাসা হয় না। প্রেমেরই ফাঁদ পাতা ভুবনে, কে কোথায় ধরা পড়ে কে জানে। তবে আজকের দিনে হিসাব না করেই বা উপায় কী। ক দেখতে ভালো, খ-এর কণ্ঠস্বর দারুণ, গ খুবই অ্যাডভেঞ্চারাস, ঘ খুবই রোমান্টিক আর ঙ-এর ফিউচার ভালো। সবাই তোমাকে পছন্দ করে। তুমি করবেটা কী!
ছেলে আর মেয়েদের মধ্যে আকর্ষণটা একেবারে ছোটবেলা থেকেই অনুভব করা যায়। তবুও বলি, যাকে বলে সঙ্গী বা সঙ্গিনী নির্বাচন, সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে তো নয়ই, অনার্সের আগে না করাই ভালো। কারণ, প্রেমের মতো সর্বগ্রাসী জগৎপ্লাবী অনুভূতি আর কিছুই নেই। এ তোমার সমস্ত অস্তিত্বকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে। ফলে তোমার রেজাল্টের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে বাধ্য। ‘ওরা সুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মিলে না, শুধু সুখ চলে যায়।’ নতুন প্রজন্মের পাঠক কি হেসে উঠছে? তোমাদের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি। তাহলে তোমরাই বলো, আমি শুনি। আরেকটা কথা, প্রেম ভেঙেও যায়। কোথায় যেন একটা জরিপের ফল পড়েছিলাম, মানুষের জীবনে গড়ে প্রেম আসে ছয়বার। যদি তোমার জীবনে প্রেম তারও চেয়ে বেশিবার এসে থাকে, তাহলে তুমি অন্য কারওটা কমিয়ে দিয়েছ। আর যদি এখনো না এসে থাকে, হতাশ হোয়ো না। আসবে। ধৈর্য ধরো। ধৈর্য ধরা যাচ্ছে না? তাহলে রবীন্দ্রসংগীত শোনো, ‘কবে আর হবে থাকিতে জীবন আঁখিতে আঁখিতে মধুর মিলন!’ সান্ত্বনা পাবে। তোমরা যে বলো দিবস-রজনী ‘ভালোবাসা’ ‘ভালোবাসা’, সখী ভালোবাসা কারে কয়? সে কি কেবলই যাতনাময়? সে কি কেবলই চোখের জল? সে কি কেবলই দুখের শ্বাস? লোকে তবে করে কী সুখেরই তরে এমন দুখের আশ…।
তার পরও ঝুঁকি নিয়ে স্ট্রেটকাট বলে দিতে পারো, ভালোবাসি। কারণ, কবি নির্মলেন্দু গুণই বলেছেন, ‘কিছু না পাওয়ার চেয়ে ভালোবেসে দুঃখ পাওয়া ভালো…’

আনিসুল হক
নকশার এ আয়োজনে মডেল হয়েছেন নদী ও ইমরান।

বন্ধু

জীবন যখন ব্যস্ত হয়ে পড়ে, তখনো সময় বের করে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠা যায় ষ মডেল: অপু মাহফুজ, সামি বন্ধুত্বের কথা বললেই সেই ভালুকের গল্পটাই বোধ করি মনে পড়ে আগে। সেই যে কোন এক কালে বন্ধুকে ভালুকের মুখে ফেলে গাছে চড়েছিল কোনো এক স্বার্থপর। সেই গল্প এখনো সবার মুখে মুখে। কিন্তু এর বাইরে আছে কত না অসাধারণ বন্ধুত্বের গল্প। বন্ধুর জন্য জীবন বাজি রাখা, বিপদে বন্ধুর পাশে দাঁড়ানো—এমন উদাহরণও মিলবে ভূরি ভূরি। ভালুকের গল্প যা-ই বলুক না কেন, আমরা সবাই আসলে জানি, বন্ধু মানেই আসলে খুব কাছের একজন। আর বন্ধুত্ব মানেই আসলে সংকটের সময় পাশে থাকা, বিপদে সাহস জোগানো—এমন অনেক কিছু। এক বন্ধু যখন হতাশায় নিমজ্জিত কিংবা সংকটে বিপর্যস্ত, তখনই অন্য বন্ধু এসে শোনাবে আশার গান—‘হাল ছেড়োনা বন্ধু…বরং কণ্ঠ ছাড়ো জোরে।’ এই তো বন্ধুত্ব!

আর সে কারণেই বন্ধু-বন্ধুত্ব এসব কিছু নিয়ে এত মাতামাতি আর বিশেষ একটি দিনকে শুধু বন্ধুত্বের জন্য উৎসর্গ করা। বন্ধু কাকে বলে? এই প্রশ্নটা খুব বোকা বোকা শোনায় আসলে। সত্যিকার বন্ধু কাকে বলে, সেটা তো আমরা ভেতরে ভেতরে জানি সবাই বেশ ভালো করেই। মানে বন্ধুত্বটা তো আসলে হূদয় দিয়ে অনুভব করার বিষয়। তবে সত্যি কথা কি, ভালো বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যও কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। কী সে বিষয়?

‘বন্ধুত্ব অত্যন্ত আনন্দময় একটি ব্যাপার। আমি বলব, যেকোনো মানুষের জন্য এটি একটি বিশেষ উপহারের মতো। কিন্তু বন্ধুত্ব যত সহজে পাওয়া যায় ততটা সহজে ধরে রাখা যায় না। বন্ু্লত্ব ধরে রাখার জন্য বন্ধুকে শ্রদ্ধা করাটা খুব জরুরি। এই শ্রদ্ধা হচ্ছে আসলে বন্ধুর মতামত, সংস্কৃতি-দর্শন এগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা না থাকলে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখা মুশকিল। আবার পারস্পরিক ভরসার জায়গাটাও থাকা চাই। আর নিঃস্বার্থভাবে দেওয়ার ইচ্ছেটা থাকতে হবে সব সময়। বন্ধু ভালুকের সামনে পড়লে পালিয়ে গাছে চড়লে চলবে না কিছুতেই।’ বলছিলেন অধ্যাপক ও সাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

সেকালের বন্ধুত্ব আর একালের বন্ধুত্বে বিস্তর ব্যবধান। ই-মেইল, চ্যাট—এসবের হাত ধরে বন্ধুত্ব সেই কবে ডিঙিয়ে গেছে দেশ-কাল সীমানার গণ্ডি। আর বন্ধুত্বের রকম-সকমই বোধ করি বেমালুম পাল্টে দিয়েছে ফেসবুক। গোটা বিশ্বকে এক সুতোয় গেঁথে ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগের এই ওয়েবসাইট। চালু হওয়ার কেবল ছয় বছরের মাথায় ফেসবুকের সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০ কোটির বেশি। এই ওয়েবসাইটের তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তাই বলে দেয় মানুষ আসলে এই সময়েও বন্ধুত্ব গড়ার জন্য কত না ব্যাকুল।

বন্ধু দিবসে কার্ড বিনিময়, উপহার দেওয়া-নেওয়া সেসব তো চালু হয়েছে ঢের আগেই। বন্ধু দিবস আসার আগেই তো বলে দেওয়া যায়, এবার বন্ধু দিবসেও দারুণ ভিড় থাকবে আর্চিস কিংবা হলমার্ক গ্যালারিতে। দেদার বিক্রি হবে ফুল। সেসবের বাইরেও এখন যোগ হয়েছে ভার্চুয়াল উপহার পাঠানোর কায়দা। বন্ধুর কাছে যাওয়ার সময় নেই। কিংবা বন্ধু থাকে সাত সমুদ্র তের নদী ওপারে। দূরত্ব কোনো সমস্যাই নয়। মাউস কিংবা কিবোর্ডের ইশারায় ভার্চুয়াল ফুল কিংবা শুভেচ্ছা কার্ড ঠিকই খুঁজে পাবে বন্ধুর ইনবক্স। তাতে করে, সত্যিকার স্পর্শের আনন্দটা হয়তো পাওয়া গেল না। কিন্তু এই যে দূরত্বের বাধা ডিঙানোর ব্যাপারটা, সেটাই বা কম কিসের।

কর্মব্যস্ত এই নাগরিক জীবনে বন্ধুত্বের আবেদন কি কমেছে একটুখানি হলেও? সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মনে করেন, অবশ্যই না। ‘স্বার্থপর সময় বলেই বন্ধুত্বটা আসলে এখন আমাদের খুব বেশি দরকার। একটা সময় ছিল যখন মানুষ যৌথ পরিবারে বসবাস করত। আমরা দেখেছি, ছোট ভাইটি তার কোনো সমস্যার বেলায় বড় ভাই বা বোনের কাছে এক ধরনের নির্ভরতা পেত। এখন সেটা কমে যাচ্ছে। সে কারণে বন্ধু এখন আরও খুব বেশি দরকার।’

বছর ঘুরে আরও একটা বন্ধু দিবস (আগস্টের প্রথম রোববার) এসে যাচ্ছে। বন্ধু দিবসে বন্ধুরা সব মিলেমিশে হয়তো চুটিয়ে আড্ডা দেওয়ার পরিকল্পনা আঁটছেন অনেকে। কেউ বা আবার হয়তো ভাবছেন, দলবেঁধে সব হুট করে কোথা থেকে ঘুরে আসার ভাবনা। আর কেউ আবার ফন্দি এঁটেছেন স্রেফ ফেসবুকে ভার্চুয়াল উপহার পাঠিয়েই সেরে ফেলবেন বন্ধু দিবস উদ্যাপন। বন্ধু দিবস যেভাবেই পালন করুন কিংবা নাই করুন, মনে রাখবেন, বন্ধুত্ব মানেই আসলে খুব চমৎকার একটা ব্যাপার। বন্ধুত্ব মানেই স্বার্থহীন, দাবিবিহীন দারুণ সুন্দর একটা সম্পর্ক। নিঃস্বার্থভাবে শুধু বিলিয়ে যাওয়া, বিপদে পাশে থাকা, ভরসা জোগানো। বন্ধুত্বের এই আসল মূলমন্ত্রটা যদি আমাদের জানা থাকে, তবে বন্ধু দিবস খুব ঘটা করে পালন না করলেও আসলে খুব বেশি কিছু আসে যায় না। সবাইকে বন্ধু দিবসের আগাম শুভেচ্ছা।
রুহিনা তাসকিন

দৈনন্দিন কর্ম জিবনে সুস্থ থাকার জন্য

দীর্ঘ রাস্তা, আরও দীর্ঘ জ্যাম পেরিয়ে যেসব চাকরিজীবীকে অফিসে ঢুকেই কাজে ডুবে যেতে হয়, আজ আমরা তাঁদের কথা বলব। ফাইলে মুখ গুঁজে, কম্পিউটারে কি-বোর্ড চেপে কখন যে তাঁদের সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়! দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেছে, এটা তিনি টের পান তখন, যখন কাঁধের মাংসপেশিগুলোতে ব্যথা শুরু হয়। হাত অবশ হয়ে আসে কিছুটা। শরীরেও নামে ক্লান্তি। কিন্তু অফিস শেষ হতে তো ঢের বাকি। তিনি না চাইলেও বিরক্তি আর শরীরের কষ্টে মুখটা তখন তেতো হয়ে আসে।

পূর্ণ উদ্যম আর শক্তিতে অফিস সময়টা পার করতে চাইলে মেনে চলুন সামান্য কিছু নিয়মকানুন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল মেডিসিন এবং রিহ্যাবিলিটেশন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল খায়ের মোহাম্মদ সালেক বলেন, সারাদিন একটানা কাজ না করে ক্লান্ত বোধ করলে একটু বিরতি নিন। এ সময় শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জাগিয়ে তুলতে হবে নতুন করে। এভাবে একটানা চার ঘণ্টা কাজ করা যাবে। তারপর আধা ঘণ্টা বিরতি দিয়ে আবার পূর্ণ উদ্যমে কাজ করতে পারবেন দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এভাবে কাজ করলে শরীর যেমন ভালো থাকবে, তেমনি কাজেও আসবে গতি।

হাত: কর্মক্ষেত্রে সারাক্ষণই কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত থাকছে হাত। একটু চাঙা হয়ে নেওয়ার জন্য হাতদুটো ছড়িয়ে দিন দেহের দুই পাশে। কনুই আর কবজি ভাঁজ করুন কয়েকবার। এবার হাত দুটি ফিরিয়ে নিয়ে যান আগের কাজে।

পা: বসে যাঁদের কাজ করতে হয় তাঁদের অনেকক্ষণ পায়ের কাজ থাকে না কোনো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পা দুটি নিস্তেজ থেকে পায়ের মাংসপেশিগুলো শক্ত হয়ে আসে। রক্ত চলাচলও হয় না ঠিকমতো। তাই পা দুটিকে কর্মক্ষম রাখতে সেলাই মেশিন যেভাবে চালায়, পায়ের পাতা সঞ্চালন করুন সেভাবে।

কোমর: দুই হাত কোমরে রেখে আস্তে ধীরে পেছনে বাঁকা হন। মনে রাখবেন, সামনে ঝুঁকবেন না কখনোই।

ঘাড়: টানা কাজ করে গেলে ঘাড়ের মাংসপেশি, কশেরুকার অস্থিসন্ধির লিগামেন্ট অসাড় হয়ে আসে। প্রতি ২০ মিনিট পরে ঘাড়ের মাংসপেশিগুলো স্ট্রেচিং করে আবার ফিরে যান কাজে।

সোহরাব হোসেন পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র (সিআরপি) ফিজিওথেরাপি বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক। তিনি বলেন, যাঁরা অনেকক্ষণ একটানা বসে কাজ করেন তাঁদের সঠিক নিয়মে বসা শিখতে হবে। পায়ের পাতা, হাঁটু, কোমর ৯০ ডিগ্রি কোণে রাখতে হবে। দীর্ঘক্ষণ একটানা বসে না থেকে হেঁটে বেড়ান একটু। কিছু বিশেষ ধরনের ব্যায়াম আছে। প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের ব্যায়ামগুলো আয়ত্ত করতে যেকোনো বিশেষজ্ঞের কাছেই যাওয়া উচিত।
সুস্থ থাকুন।

 ভঙ্গিগত ত্রুটি যতটা সম্ভব এড়িয়ে বসে কাজ করুন।
 লেখালেখির কাজে কাঠের সমান চেয়ারই সবচেয়ে ভালো।
 যতটা সম্ভব টেবিলের কাছে বসতে হবে।
 কোনো দিকে ঝুঁকে না বসে বসতে হবে মেরুদণ্ড সোজা করে।
 লেখার সময় দুই হাতের কনুই টেবিলের ওপর রাখুন।
 ল্যাপটপটি টেবিলের মাঝে রেখে কাজ করুন, যাতে দুই হাত ঝুলে না থাকে।
 সরাসরি সামনের দিকে তাকিয়ে কাজ করুন—কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের ক্ষেত্রে।
 খুব ছোট হরফে লিখবেন না, এতে ঘাড়ের ছোট ছোট মাংসপেশি শক্ত হয়ে আসে।
 দিনে অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটুন।
 ২০ মিনিট পরপর উঠে দাঁড়ান।
 লম্বা হয়ে দাঁড়ান, বসবেন আরও লম্বা হয়ে।
 সব সময় লিফট না ধরে সিঁড়ি ভেঙে উঠতে পারেন।

সিদ্ধার্থ মজুমদার

শরীর ভালো রাখার জন্য মেডিটেশন


স্বস্তিকা আসনে বসে ধ্যান করা যায় ব্যস্ত নগরজীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে যাঁরা বড় ক্লান্ত, বড় অবসন্ন, তাঁদের জন্যই এ আয়োজন আমাদের। শরীরটা হয়তো তাঁদের চলছে জীবনের প্রয়োজনে কিন্তু মন যে রোগা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। সুস্থ জীবনের জন্য তাই মনকে শরীরের সঙ্গে বাঁধতে হবে আগে। মনকে শরীরের বশে আনতে খুব বেশি কিছু আয়োজনের দরকার নেই। দরকার মেডিটেশন বা ধ্যানের। প্রশান্তি ইয়োগা আয়ুর্বেদ এবং নেচারোপ্যাথি সেন্টারের পরিচালক ও প্রশিক্ষক গুরুজি সত্যজি বিশ্বাসও বললেন একই কথা। তিনি জানান, একাগ্র মনে কোনো চিন্তার নাম হলো মেডিটেশন বা ধ্যান। এই মেডিটেশন শুধু মনকেই কেন্দ্রভূত করে জাগিয়ে তোলে না, শরীরের যন্ত্রেরও উন্নতি করে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী চিকিৎসক মুনিরজ্জামান বললেন, মানুষের শক্তির উৎস হলো মন। আর মন যখন শান্ত থাকে, মানুষ তার মস্তিষ্ককে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। আর মনকে স্থির করার সফলতম পদ্ধতি হলো মেডিটেশন।
যে পরিবেশে মেডিটেশন

 সকালে বারান্দার হালকা রোদে হতে পারে মেডিটেশন।
 মেডিটেশনের জন্য উপযোগী হতে পারে ছাদ কিংবা বড় ঘর।
 কোলাহল থেকে মুক্ত হবে ধ্যানের স্থান।
 হালকা আলো আছে এমন ঘর মেডিটেশনের জন্য উপযুক্ত।
 ঘরে সুগন্ধ ছড়ানো যেতে পারে।
 মিউজিক প্লেয়ারে বাজতে পারে মিষ্টিমধুর কোনো সুর।
 সেতার, বেহালা কিংবা শিশিরের শব্দের আওয়াজের আয়োজনও থাকতে পারে কৃত্রিমভাবে।
 ধ্যানে বসার স্থানটি খুব শক্ত হবে না, আবার খুব নরমও নয় কিন্তু।
জানতে হবে
 ধ্যান বা মেডিটেশন করতে হবে পদ্মাসন, সুখাসন, অর্ধপদ্মাসন, স্বস্তিকা আসনে বসে।
 দুই হাত থাকবে ধ্যান মুদ্রায়।
 কোমর, কাঁধ, মাথা একটি সরলরেখায় থাকবে।
 শিথিল করে রাখতে হবে কাঁধ।
 এই ভঙ্গিতে বসে কিছুক্ষণ অন্য সব চিন্তা দূরে সরিয়ে মনকে কেন্দ্রীভূত করুন।
 দুর্বল, অসুস্থ শরীর মেডিটেশনের জন্য উপযোগী নয়। তাই সুস্থ হতে হবে আগে।
 বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে মেডিটেশনে না বসাই ভালো।
 সৎ চিন্তায় মনকে বাঁধতে হবে।
 বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভোজন।
 প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে।
পোশাক-পরিচ্ছদ
 সুতির আরামদায়ক যেকোনো পোশাকই মেডিটেশনের জন্য উপযোগী।
 পরিষ্কার পাজামা-পাঞ্জাবি পরে করতে পারেন মেডিটেশন।
 ট্রাউজার অথবা ট্র্যাকসুটও চলবে।
 এ ছাড়া যেকোনো ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করতে পারেন।
 শরীরে যেকোনো ধরনের অলংকার না রাখাই ভালো।
কার্যকারিতা
 মনের একাগ্রতা বাড়ে।
 স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
 দেহের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
 মনের উদ্বিগ্ন, হতাশা, অশান্তি দূর করে।
 অনিদ্রা থেকেও মুক্তি পেতে সক্ষম।
 দেহতন্ত্রের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুন্দরভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
 দীর্ঘায়ু লাভ হয়।
 মনোকষ্ট দূর করে।
 চিন্তাশক্তির প্রখরতা বাড়ে।
 মানসিক চাপ কমায়।
 আবেগ, অভিমান, হীনম্মন্যতা দূর করে।
 হূদেরাগেরও উপশম হয় মেডিটেশনে।
 মেডিটেশনে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ে।

সিদ্ধার্থ মজুমদার

Sorir valo rakhar jonno meditation

স্বস্তিকা আসনে বসে ধ্যান করা যায় ব্যস্ত নগরজীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে যাঁরা বড় ক্লান্ত, বড় অবসন্ন, তাঁদের জন্যই এ আয়োজন আমাদের। শরীরটা হয়তো তাঁদের চলছে জীবনের প্রয়োজনে কিন্তু মন যে রোগা হয়ে যাচ্ছে দিন দিন। সুস্থ জীবনের জন্য তাই মনকে শরীরের সঙ্গে বাঁধতে হবে আগে। মনকে শরীরের বশে আনতে খুব বেশি কিছু আয়োজনের দরকার নেই। দরকার মেডিটেশন বা ধ্যানের। প্রশান্তি ইয়োগা আয়ুর্বেদ এবং নেচারোপ্যাথি সেন্টারের পরিচালক ও প্রশিক্ষক গুরুজি সত্যজি বিশ্বাসও বললেন একই কথা। তিনি জানান, একাগ্র মনে কোনো চিন্তার নাম হলো মেডিটেশন বা ধ্যান। এই মেডিটেশন শুধু মনকেই কেন্দ্রভূত করে জাগিয়ে তোলে না, শরীরের যন্ত্রেরও উন্নতি করে। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী চিকিৎসক মুনিরজ্জামান বললেন, মানুষের শক্তির উৎস হলো মন। আর মন যখন শান্ত থাকে, মানুষ তার মস্তিষ্ককে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারে। আর মনকে স্থির করার সফলতম পদ্ধতি হলো মেডিটেশন।
যে পরিবেশে মেডিটেশন

 সকালে বারান্দার হালকা রোদে হতে পারে মেডিটেশন।
 মেডিটেশনের জন্য উপযোগী হতে পারে ছাদ কিংবা বড় ঘর।
 কোলাহল থেকে মুক্ত হবে ধ্যানের স্থান।
 হালকা আলো আছে এমন ঘর মেডিটেশনের জন্য উপযুক্ত।
 ঘরে সুগন্ধ ছড়ানো যেতে পারে।
 মিউজিক প্লেয়ারে বাজতে পারে মিষ্টিমধুর কোনো সুর।
 সেতার, বেহালা কিংবা শিশিরের শব্দের আওয়াজের আয়োজনও থাকতে পারে কৃত্রিমভাবে।
 ধ্যানে বসার স্থানটি খুব শক্ত হবে না, আবার খুব নরমও নয় কিন্তু।
জানতে হবে
 ধ্যান বা মেডিটেশন করতে হবে পদ্মাসন, সুখাসন, অর্ধপদ্মাসন, স্বস্তিকা আসনে বসে।
 দুই হাত থাকবে ধ্যান মুদ্রায়।
 কোমর, কাঁধ, মাথা একটি সরলরেখায় থাকবে।
 শিথিল করে রাখতে হবে কাঁধ।
 এই ভঙ্গিতে বসে কিছুক্ষণ অন্য সব চিন্তা দূরে সরিয়ে মনকে কেন্দ্রীভূত করুন।
 দুর্বল, অসুস্থ শরীর মেডিটেশনের জন্য উপযোগী নয়। তাই সুস্থ হতে হবে আগে।
 বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে মেডিটেশনে না বসাই ভালো।
 সৎ চিন্তায় মনকে বাঁধতে হবে।
 বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভোজন।
 প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে।
পোশাক-পরিচ্ছদ
 সুতির আরামদায়ক যেকোনো পোশাকই মেডিটেশনের জন্য উপযোগী।
 পরিষ্কার পাজামা-পাঞ্জাবি পরে করতে পারেন মেডিটেশন।
 ট্রাউজার অথবা ট্র্যাকসুটও চলবে।
 এ ছাড়া যেকোনো ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করতে পারেন।
 শরীরে যেকোনো ধরনের অলংকার না রাখাই ভালো।
কার্যকারিতা
 মনের একাগ্রতা বাড়ে।
 স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়ক।
 দেহের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
 মনের উদ্বিগ্ন, হতাশা, অশান্তি দূর করে।
 অনিদ্রা থেকেও মুক্তি পেতে সক্ষম।
 দেহতন্ত্রের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুন্দরভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
 দীর্ঘায়ু লাভ হয়।
 মনোকষ্ট দূর করে।
 চিন্তাশক্তির প্রখরতা বাড়ে।
 মানসিক চাপ কমায়।
 আবেগ, অভিমান, হীনম্মন্যতা দূর করে।
 হূদেরাগেরও উপশম হয় মেডিটেশনে।
 মেডিটেশনে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ে।

সিদ্ধার্থ মজুমদার

20110716

বাংলাদেশি খবর

Bangla Newspaper Links

basosn.blogspot.com– Bangla Newspapers contains all bangla newspapers around the globe as Canada bangla news, USA bangla news, UK, Russia  and Indian Bangla Newspaper Links. Our organized Bangla news links will help you to find all Bangladeshi newspapers without wasting your time looking for different sources. Read news, Because news for knowledge.

German Bangla Radio Online Radio from Germany জার্মান হতে প্রকাশিত
BBC Bangla Online Radio from London. লন্ডন  হতে প্রকাশিত
China Radio Online Radio from china. চীনা  হতে প্রকাশিত
Radio Russia Online Radio from Rassia. রাশিয়া  হতে প্রকাশিত
Daily Prothom Alo Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Anandabazar Potrika Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Daily Janakantha Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Inqilab Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
bd News 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Amader Shomoy Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Asomiya Pratidin Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Bengal Net Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Bhorer Kagoj Published from Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
Century Sangbad Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Daily AajKaal Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Daily Naya Diganta Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Sangram Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Manob Jamin Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
eProthom Alo Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
GanaShakti Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Sambad Protidin Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Shamokal Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Tehran Bangla Radio Online Radio from Iran. ইরান  হতে প্রকাশিত
Amader Orthoneeti Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Amar Desh Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Bangladesh Shangbad Shangstha Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Bartamaan Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Daily Desher Katha Published from Agartala. আগরতালা  হতে প্রকাশিত
Daily Destiny Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Kaler Kantho Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Purbanchol Published from Khulna. খুলনা  হতে প্রকাশিত
Deener Sheshey Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
News Net Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Noakhali web Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
rtnn Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Sheersha News Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Suprovat Bangladesh Published from Chittagong. চিটাগাং   হতে প্রকাশিত
The Daily Al Ihsan Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
The Daily Janata Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
The Daily Karatoa Published from Bogra. বগুড়া  হতে প্রকাশিত
The Daily Sangbad Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
The Daily Ittefaq Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
The Editor Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Bangladesh Shomoy Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Dainik Azadi Published from Chittagong. চিটাগং  হতে প্রকাশিত
Dainik Janakontha Published from Assam. আসাম  হতে প্রকাশিত
Dainik Jugasankha Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Deshe Bideshe Published from Canada. কানাডা  হতে প্রকাশিত
Dhaka News 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
INB World Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Uttarbanga Sambad Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
Amader Barisal Published from Barisal. বরিশাল  হতে প্রকাশিত
Bangla Express Published from Dubai. দুবাই  হতে প্রকাশিত
Barisal News Published from Barisal. বারিশাল  হতে প্রকাশিত
Dainik Sambad Published from Agartala. আগোরতলা হতে প্রকাশিত
Golapganj Published from Sylhet. সিলেট  হতে প্রকাশিত
Gold News India Published from Kolkata. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
National News Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Probasha Protidin Published from UK. ইউ.কে  হতে প্রকাশিত
BD Today News Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Dhaka Report Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Gramer Kagoj Published from Jessore. যশোর  হতে প্রকাশিত
Mathabhanga Publishing from Chuadanga. চুয়াডাঙ্গা  হতে প্রকাশিত
United News 24 Published from Chuadanga. চুয়াডাঙ্গা  হতে প্রকাশিত
Shokaler Khabor Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Aamader Malda Published from Malda. মালদা  হতে প্রকাশিত
Amader Protidin Published from UK. ইউ কে  হতে প্রকাশিত
Hawker Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
VOA News Published from USA. ইউ এস এ   হতে প্রকাশিত
Bangla Times 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
BD Stock 4u Share Market News. শেয়ার বাজারের খবর
The Daily Shahnama Published from Barisal. বারিশাল  হতে প্রকাশিত
The Daily Dinkal Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Sylhet News 24 Published from Sylhet. সিলেট  হতে প্রকাশিত
Bangla News 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Jai Jai Din Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
BD Protidin Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Joy Bangla Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Jugantor Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Daily Patradoot Published from Satkhira.সাতক্ষীরা  হতে প্রকাশিত
Dainik Agradoot Published from India. ইন্ডিয়া  হতে প্রকাশিত
Savar News 24 Published from Savar. সাভার  হতে প্রকাশিত
Samayik Prasanga Published from Assam.আসাম  হতে প্রকাশিত
Northern News 24 Published from Rangpur.রংপুর  হতে প্রকাশিত
News First bd Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
News BNN Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
News Bangladesh Published from Narayan Gong. নারায়ন গঞ্জ  হতে প্রকাশিত
NB News 24 Published from Sylhet. সিলেট  হতে প্রকাশিত
Manikganj News Published from Manikganj. মানিকগঞ্জ  হতে প্রকাশিত
Khulna News Published from Khulna. খুলনা  হতে প্রকাশিত
ICT News Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
eKaler Kantha Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Digital Shomoy Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Dainik Sylhet Published from Sylhet. সিলেট  হতে প্রকাশিত
Dainik Purbokone Published from Chittagong. চিটাগং হতে প্রকাশিত
Comilla Web Published from Comilla. কুমিল্লা  হতে প্রকাশিত
Chandpur Web Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
CD News Published from Chuadanga. চুয়াডাঙ্গা  হতে প্রকাশিত
BNB News Published from London. লন্ডন  হতে প্রকাশিত
Bengali News Published from Agartala. আগরতলা  হতে প্রকাশিত
BD Report 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
bd National News Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Barta 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Bangla Protidin Published from London. লন্ডন  হতে প্রকাশিত
Bangla News Update Published from Sylhet. সিলেট  হতে প্রকাশিত
Bangla Economy 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Timesi Bengali Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
BCJA News 24 Published from Dhaka. ঢাকা হতে প্রকাশিত
UK BD News Published from London. লন্ডন  হতে প্রকাশিত
GT News 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
PTB News Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিতঁ
BD Barta 24 Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Bangla Kantho Published from Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
The Telegraph Published From Calcutta. কোলকাতা  হতে প্রকাশিত
eDaily Star Published From Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
bd News 24 Published From Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Bangladesh News Published From Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত
Guardian Published From UK. ইউ কে   হতে প্রকাশিত
NEW AGE Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
The Bangladesh Today Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
The Financial Express Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
The News Today Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
UNB News Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
Bangladesh Info Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
Bangladesh Shangbad Shangstha Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
Calcutta Online Published From Calcutta. কোলকাতা   হতে প্রকাশিত
The Statesman Published From India. ইন্ডিয়া   হতে প্রকাশিত
Bangladesh News.Net Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
E-Bangladesh Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
GanaShakt Published From Kolkata. কোলকাতা   হতে প্রকাশিত
The Daily Star Published From Dhaka. ঢাকা    হতে প্রকাশিত
Bangladesh Community in China Published From China. চীনা   হতে প্রকাশিত
Bangladesh Web News Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
Energy Bangla Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশি
News Time Dhaka Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
The Bangladesh Observe Published From Dhaka. ঢাকা
Daily Sun Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
Hindustan Times Published From Indian. ইন্ডিয়া   হতে প্রকাশিত
Hawker Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
News BNN Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
Peoples View Published From Chitagong. চিটাগং   হতে প্রকাশিত
The Independent Published From Dhaka. ঢাকা   হতে প্রকাশিত
The New Nation Published From Dhaka. ঢাকা  হতে প্রকাশিত


Dear User
We are updating our Bangla News links. If I miss any Bangla news link from Bangladesh or around the globe, please send me an email sm_kholil@yahoo.com or Text message at my mobile +8801926969047 (Bangladesh)

Example:

Newspaper Name: Ittifaq
Newspaper Link: http://ittefaq.com.bd
Published From: Dhaka, Bangladesh

Thanks....
Admin
basosn.blogspot.com 
Bangla Daily News Papers from Kolkata, India. Daily Protidin Sambad Protidin · Ananda Bazar Anandabazar Potrika · Daily AajKaal · Daily Bartamaan ...ABCnews24 [In Bengali]; Akti Bangladesh · AL-Ihsan (Dhaka) [In Bangla]; Amader Noakhali [In Bengali]; Amader Media [In Bengali]; Amader Protidin [In Bangla] ...Bangladeshi news papers in English and Bengali. ... Popular and reliable old Bangla News paper. A news paper agency serving Bangladesh news for decades. ...A huge collection of Bangladeshi Bangla (Bengali) and Indian bangla news paper and radio bangla news from BBC and America.Welcome to All Bnagla newspaper. Com. This site is contained most of Bangla Daily Newspaper, weekly and monthly Magazine which are published from Bangladesh ...bangladesh newspaper, bangladesh newspapers, news paper in bangladesh, news paper of bangladesh, news papers bangladesh, news papers in bangladesh, ...Tons of Bangla News and Indian Bangla News Paper Links - Prothom Alo, Ittefaq, Amader Shomai, Ajker Kagoj, Amar Desh, Bhorer Kagoj, Inqulab, Sangram, ...All bangladesh daily newspaper, news, online newspapers, news papers links for bangladeshi in Bangla, Bengali, and English.Bangladeshi most of the News papers now you will get online. Bangladesh is quite soft for publish all the news. Student may search or view all education ...

Daily News পরামর্শ মাইক্রোসফট এক্সেল টিউটোরিয়াল Top News পৃথিবীর বাংলা খবর মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টিউটোরিয়াল সুস্থ সুন্দর থাকার জন্য CA Study English News বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল Bangladesh Local News oDesk test answers ওডেস্ক ফ্রিল্যান্সিং ব্লগার ব্লগ টিউটরিয়াল ঈদূল-আজ-হা অন্যান্য ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ঘড়োয়া টুকিটাকি Mobile AD NG ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টিনেজার ব্লগিং গুল অ্যাডসেন্স Eid-ul-Azha IELTS International Photoshop আজকের আলোচিত খেলা ডাউনলোড ফটোশপ লাইফ স্টাইল Admission BCS Preparation Bangla Vedio Song Book Comilla Craigslist Download Elance Facebook Gazipur Google Gre Word IELTS Vocabulary Japan Khulna Math Tutor Money Mymensingh PHP Personal Short Film Shortcut Key Technology Texas Vocabulary Windows Youtube আজ থেকে টানা ৬০ ঘণ্টা হরতাল উইন্ডোজ টিউটোরিয়াল কোরবানীর প্রস্তুতি গ্রী ওয়ার্ড ছবি ঘড় জুমলা বরতমান বৈদেশিক সম্পর্ক মাইক্রোসফট অফিস টিউটোরিয়াল মেহেদি রাজনিতি রুপ-চরচা সাক্ষাৎকার হরতালের আগেই বোমা হামলা
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...