ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

ঈদ মুবারাক আসসালাম!

সাধনার পরে এসেছে প্রভাত খুশির জোয়ার নিয়ে, ভাগ করে তাই সবাই নিলাম কাঁধে কাঁধ রেখে। আপনার পরিবারেরর সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মুবারাক।

বাংলা নিউসপেপার পেজে আপনাকে সাগত / এই সাইট টি সুথু  মাত্র বাংলা নিউস এর জন্য নয় / আমি নেট ঘেটে যখনি ভালো কিছু পাই তখনি এই সাইটে পোস্ট করি যাতে পরবর্তিতে চাইলে একসাথে সব দেখতে পারি / আমার বিশ্বাস আমার ভালোলাগা বিসয়্গুলো আপনার ভালো লাগবে / যদি আপনি খুব বাস্ত না হন এবং আপনার হাতে ২-৩ মিনিট সময় থাকে তাহলে আমি আপনাকে রিকুইস্ট করব সাইট টির হোম (HOME) পেজ ক্লিক করার জন্য যাতে আপনি পুরো সাইট টি দেখতে পারেন / বাংলা নিউসপেপার সাইট টি থেকে যদি আপনাদের এতটুকু সাহায্য করতে পারি  তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক / আপনাকে আরো একবার আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি / 

20191030

Daily Vocabulary-1: Learn English Word

-->
Daily Vocabulary
WordMeaningExample
ECNECThe Executive Committee of the National Economic Council
census আদমশুমারি
marineসামুদ্রিক
SEIPSkills for Employment and Investment Programme
BBSBangladesh Bureau of Statistics
ICC bans Shakib for two years
executeকার্যকর করা
optimum সর্বাপেক্ষা অনুকূল
breachingফাটল
sanctionঅনুমোদন
Asia-Pacific economies need to inject $42b into farming by 2030
authoritativeকর্তৃত্বপূর্ণ, নির্ভরযোগ্য
reckonedগণিত

20141005

কুরবানী/ ঈদুল আযহা: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

ঈদুল আযহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের পোষ্টটি শুরু করছি। অনেক দেশেই আগামী কয়েক ঘন্টা পর থেকে ঈদুল আযহা উদযাপন শুরু হবে। মক্কায় হাজীরা হজ্জ্বের যাবতীয় হুকুম পালন করে মিনায় পশু কুরবানী করবেন/করাবেন। ইতোমধ্যে ‘লাব্বায়েক-আল্লাহুম্মা-লাব্বায়েক’ ধ্বনিতে মক্কার আকাশ-বাতাস মুখোরিত হয়ে উঠেছে।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকে আজকের মধ্যে কুরবানীর পশুটি কিনে ফেলেছেন। অনেকে হয়ত আগামীকাল কিনবেন। ঈদের শপিং সেরে অনেকে আবার দেশের বাড়িতে চলে গেছেন। অনেকে রয়ে গেছেন রাজধানী ঢাকাতেই।
তো, শেষ মুহূর্তে ঈদুল আযহার শেষ প্রস্তুতি হিসেবে আমরা এই পোষ্টে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করব। যেগুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখলে আশা করা যায় আল্লাহর দরবারে আমাদের কুরবানী কবুল হবে, ইনশা’আল্লাহ।
১. তাকবীরে তাশরীক: ‘আইয়্যামে তাশরীক’ তথা ৯ই জিলহজ্জ্ব ফযর নামায থেকে ১৩ই জিলহজ্জ্ব আসর নামায পর্যন্ত প্রত্যেক ফরয নামাযের পর একবার ‘তাকবীরে তাশরীক’ পড়া ওয়াজীব। পুরুষ জোড়ে পড়বে, আর মহিলা আস্তে পড়বে। তাকবীরে তাশরীক হলো:
الله اكبر الله اكبر لا اله الا الله و الله اكبر الله اكبر و لله الحمد
উচ্চারণ: ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ”।
২. নিয়্যত: কুরবানীর ক্ষেত্রে সবার আগে আমাদের নিয়্যত (উদ্দেশ্য/ইচ্ছা) শুদ্ধ করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে, কুরবানী শুধু আল্লাহর আদেশ পালনার্থে, আল্লাহকে সন্তুষ্ট করণার্থে করা হচ্ছে। গোশত খাওয়া, লোক দেখানো, প্রতিযোগিতা -এসব কোনো উদ্দেশ্য কুরবানীতে নেই। আল্লাহ তা’আলা বলেছেন,
لَنْ يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِنْ يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنْكُمْ
“আল্লাহর কাছে কুরবানীর পশুর গোশত-রক্ত-কিছুই পৌঁছে না। শুধু পোঁছে তোমাদের অন্তরের ভয়, তাকওয়া। (২২:৩৭)
কুরবানী দেয়ার আগে শরীকদের সবাইকে নিয়ে নিয়্যত পরিশুদ্ধকরণের ব্যপারে বুঝাতে হবে। শরীকদের কারো একজনের নিয়্যত শুদ্ধ না থাকলে শরীকদের অন্য সকলের কুরবানী নষ্ট হয়ে যাবে। তাই, এ ব্যপারে খুব সতর্ক থাকা উচিৎ।
৩. কুরবানীর আগে কিছু খাওয়া: যার পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া হবে, তার জন্য ঈদের দিন সর্বপ্রথম খাবার হিসেবে কুরবানীর গোশত খাওয়া সুন্নত। এটা শুধু ১০ই জিলহজ্জ্বের জন্য (ঈদের ১ম দিন)। এর পরের দু’দিন কুরবানী দিলেও প্রথম খাবার হিসেবে কুরবানীর গোশত হওয়া সুন্নত নয়।
৪. যবেহকারীর হাতে নামের চিরকুট: যিনি যবেহ করবেন, তার হাতে কুরবানীদাতাদের নাম লিখিত চিরকুট দেয়ার কোনো মূল্য নেই। এই নাম যবেহকারী মনেও রাখেন না, সেগুলো পড়েনও না, পড়লেও কোনো উপকারিতা নেই। অতএব, এটা একেবারেই অর্থহীন একটি কাজ। যার পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া হবে তার মনে মনে রাখলেই হল, লেখার প্রয়োজন নেই।
৫. পশু যবেহ/কুরবানী: পশু যার, কুরবানী তিনি নিজে করলেই সবচেয়ে ভালো হয়। হুজুরের হাত দিয়ে কুরবানী করানোতে কোনো ফযীলত নেই। তবে কেউ হুজুর/অন্য কাউকে দিয়ে কুরবানী করালে পারিশ্রমিক=হাদিয়া (একই কথা) দেয়া উচিৎ। কারণ তিনি আপনার জন্য তার সময় ব্যয় করেছেন, যা করার কোনো প্রয়োজন তার ছিল না।
৬. পশুর চামড়া: পশুর চামড়ার টাকা গরীব-দুখী-ইয়াতীম-মিসকিনদের মাঝে সদকা করে দেয়া উত্তম। তবে চামড়া নিজে রেখে দিলেও দিতে পারে।
৭. পশুর গোশত বন্টনের আগে রান্না: সমস্যা নেই। তবে বন্টনটা ঠিকমত করতে হবে। বন্টন ঠিক রেখে গোশত রান্না করলে কোনো সমস্যা হবে না।
৮. গোশত বন্টন: গোশত বন্টনের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হবে। অনুমানের উপর ভিত্তি করে বন্টন না করে ওজন করে বন্টন করলেই বেশি ভালো হয়।
৯. কশাইদের মজুরী: কশাইদের মজুরী হিসেবে গোশত দেয়া যাবে না। অনেকসময় গোশত কাটাকাটির সময় আশেপাশের লোকজন হেল্প করে কিন্ত তারা টাকার বিনিময়ে কাজ করে না। যাওয়ার সময় গোশত নিয়ে যায়। এটা বৈধ নয়। মনে রাখবেন, গোশত=পারিশ্রমিক হতে পারবে না। গোশত=হাদিয়া/উপহার হতে পারে। তবে পারিশ্রমিক দেয়ার পর ভিন্নভাবে গোশত দেয়া যেতে পারে।
১০. তিনভাগে গোশত বন্টন: কুরবানীর গোশত তিন ভাগে ভাগ করা উত্তম। তবে এটা কোনো আবশ্যক বিধান নয়। তিনভাগের এক ভাগ নিজেদের জন্য, এক ভাগ গরীব-দুখীদের জন্য, আর এক ভাগ আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিলিয়ে দিবে। কোথাও আত্মীয় না থাকলে, গরীব-দুখী থাকলে, আত্মীয়ের অংশটা তাদের দেয়া যেতে পারে। অথবা, সম্পূর্ণ অংশ নিজে খেয়ে ফেললেও কোনো সমস্যা নেই। তবে কুরবানীর অন্যতম উদ্দেশ্য যেহেতু ধনী-গরীব সকলের চোখে-মুখে হাসি ফোটানো, তাই গরীবদের বেশি দেয়াতে দোষের কিছু তো নেই-ই, বরং তাতে সওয়াবই আরো বেশি পাওয়া যাবে।
১১. মাসটি ইবাদতের, তা মনে রাখা: এ মাস জিলহজ্জ্ব মাস। এ মাসের ফযীলত, গুরুত্ব নিয়ে হাদীস শরীফে অনেক বর্ণনা পাওয়া যায়। অতএব ঈদ উপলক্ষে পাপের সরঞ্জাম প্রস্তুত করে এ মাসের পবিত্রতা ক্ষুন্ন করা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। যেভাবেই হোক, এ মাসের পবিত্রতা রক্ষা করা উচিৎ।

ঈদের আগেই শেষ দিনের প্রস্তুতি

ঈদের আগেই শেষ দিনের প্রস্তুতি 

download2এটিএন টাইমস ডেস্ক:
ঈদ আসতে আর কয়েকদিন মাত্র বাকি। এর মধ্যেই গুছিয়ে নিতে হবে হাতের কাজ। তা না ঈদের দিন টানাটানি লেগে যাবে একেবারে। তবে কুরবানীর ঈদে কাজের চাপ আরো বেশি থাকে সবার উপর। তাই এই দিন নিজের কাজগুলোকে আর একটু সহজ সরল করে তুলতে চেষ্টা করুন দরকারি সবকিছু হাতের কাছেই রাখতে। রইলো সেসবেরই খোঁজ।
চাপাতি:
মাংস কাটার জন্য যে জিনিসটির সবচেয়ে বেশি দরকার সেটি হলো চাপাতি। বিশেষত গরুর হাড় অনেক শক্ত। তাই চাপাতি ছাড়া চলবেই না। কামারের দোকানগুলোতেই মিলবে পছন্দের চাপাতি। দাম গুণতে হবে ২৫০-৬০০ টাকার মতো। আর যদি অর্ডার দিয়ে একটু ভালো করে বানাতে চান সে ক্ষেত্রে দাম পড়বে ৫০০-৮০০ টাকার মধ্যে।
তবে আপনার ঘরে পুরোনো চাপাতি থাকলে সেটিকে কামারের কাছে গিয়ে ধার করিয়ে নিতে পারেন। তবে তার আগে আপনি যে কসাই ঠিক করছেন তার সাথে কথা বলে নিতে পারেন। যে সে কি কি যন্ত্রপাতি নিয়ে আসবে। তাহলে আপনাকে কি কি যোগাড় করতে হবে সেটা আপনি সহজে বুঝতে পারবেন।
ছুরি:
পশুর চামড়া ছাড়ানোর জন্য ছুরি লাগবেই। তা না হলে দেখা যায় অনেকসময় চামড়া ও মাংস দুটোই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আপনি যেকোনো ক্রোকারিজের দোকানেই ছুরি পাবেন, যেগুলো সাধারণত স্টিলের তৈরি। তবে চামড়া ছাড়ানোর জন্য কামারের তৈরি ছুরিই উপযোগী বেশি। এ ক্ষেত্রেও আপনি দুই রকম ছুরি পাবেন, আগে থেকে তৈরি অথবা অর্ডার দেওয়া। অর্ডার দিয়ে তৈরি করাতে গেলে খরচ পড়বে ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে, আর তৈরিকৃতগুলোর দাম পড়বে ১০০-১৫০ টাকার মতো।
দা:
মাংস ছোট করে কাটার জন্য দা অবশ্যই লাগবে। এটাও খোঁজার জন্য দৌড়াতে হবে কামারের কাছে। তাদের তৈরিকৃতগুলো পাবেন ২৫০-৩৫০ টাকার মধ্যে, নিজে অর্ডার দিয়ে ভালো করে বানাতে চাইলে গুণতে হবে ৩০০-৪৫০ টাকা। তবে একবার বানিয়ে নিলে অনেকবছর নিশ্চিন্তে থাকতে হবে। কেবল প্রয়োজনের সময় ধার দিয়ে নিলেই হবে।
চপিং বোর্ড:
মাংস ছোট করে কাটার জন্য চপিং বোর্ড দরকার। প্লাস্টিক অথবা কাঠের তৈরি চপিং বোর্ড পাওয়া যায়। প্লাস্টিকের তৈরিগুলোর দাম পড়বে ৮০-২০০ টাকার মধ্যে। কাঠেরগুলো নিজে অর্ডার দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন। দাম দিতে হবে ৪০০-১০০০ টাকা।
বটি:
মাংস কাটার জন্য আপনার জরুরি আর একটি জিনিস হচ্ছে বটি। এটি সবার বাসায় থাকার কথা। আর থাকলেও সেটি মনে করে ধার করিয়ে নিন। এতে কোরবানির মাংস কাটতে সুবিধা হবে। আর নতুন কিনতে চাইলে আকারভেদে দাম পড়বে ১৫০-৩০০ টাকার মধ্যে।
পাওয়া যাবে:
রাজধানীর কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ী, হাজারীবাগ, বাসাবো, তালতলা, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বক্সীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানের কামারের দোকানগুলোতে। দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলার ছোট ছোট হাটবাজারেও পাবেন নিত্য প্রয়োজনীয় এই সামগ্রীগুলো। শুধু পছন্দমতো অর্ডার করে বানিয়ে নিলেই হলো।

ঈদের আগে মেহেদি

ঈদের আগে মেহেদি

এআর/ আরএফ
ঈদের আগের রাতে নানান পরিকল্পনায় ব্যস্ত থাকেন সবাই। কারণ রাত পোহালেই তো অনেক অপেক্ষার ঈদ। ঈদকে একেবারে নিখুঁত আর আনন্দময় করতে আগের রাতে ব্যস্ততা প্রচুর। বিশেষ করে তরুণীদের ব্যস্ততা থাকে ঈদের আগের রাতে রূপচর্চা আর মেহেদি দেয়া নিয়ে। হাতে মেহেদি না দিলে যেন ঈদ পায় না ঈদের রূপ। তাই এবারের বাংলা ট্রিবিউন লাইফস্টাইলের আয়োজন চাঁদ রাতের মেহেদি দেয়া নিয়ে।
একটা সময় ছিল রমজানের ঈদেই শুধু মেয়েরা হাত মেহেদি দিয়ে রাঙাতো। রমজানের শেষভাগ শুরু হতেই বাড়ির মেয়েরা উঠানের কোণে থাকা মেহেদি গাছের পাশ ছাড়তো না। খুব যত্নে গাছের মেহেদি পাতা তুলে নিয়ে অপেক্ষা করতো। যেই ঈদের চাঁদ উঁকি মারতো আকাশে সেই শুরু হতো মে‌‌হেদি বাটার তোড়জোর। মেহেদি পাতার গন্ধ ছড়িয়ে যেত পুরো ঘরে। একদিকে চাঁদরাতে রান্না করা মায়েদের ধোঁয়া ওঠা সেমাই-পায়েসের ঘ্রাণঅন্যদিকে মেহেদি পাতার গন্ধদুইয়ে মিলে এক নতুন সৌরভ ছড়িয়ে দিত ঘরজুড়ে। যাকে ঈদ সুগন্ধী বললেও ভুল হবে না।
এখন রমজানের ঈদের পাশাপাশি কোরবানী ঈদেও বেশ শুরু হয়েছে মেহেদি উৎসবের জোয়ার। আর সেসাথে যুক্ত হয়েছে মেহেদির নানান ফর্ম।
অনেকে শখ করে পা রাঙায় মেহেদি দিয়ে
অনেকে শখ করে পা রাঙায় মেহেদি দিয়ে
বাটা মেহেদির সেই আবেদন এখন কমেছে অনেক। সে জায়গা দখল করেছে টিউবে ভরা মেহেদি। তবে টিউব মেহেদিকে ঘিরেও তরুণীদের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। ঈদ বলে কথাযতো সহজে ধারণ করা যাবে উৎসবের রঙততোই ভালো। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সবকিছুই সহজ থেকে সহজতর হয়ে যাচ্ছেতাই বাটা মেহেদির স্থান আজ দখলে নিয়েছে টিউব মেহেদি। নানা ধরনেরনানা রঙের মেহেদি এখন মিলছে টিউবে। কোনোটা লালকোনোটা কালো,কোনোটা আবার গ্লিটার মেহেদি। আর মেহেদির মধ্যেও আছে নানান ধরনযেমনজেলপেস্ট,ইন্সট্যান্ট আর বাজারে পাওয়া যায় পাউডার মেহেদিও।
মেহেদি কেনার বেলায় হতে হয় বেশ সচেতন। কারণ ইদানিং বাজারের টিউব মেহেদিগুলো অনেক বেশিমাত্রায় কেমিক্যাল ব্যবহার করে। তাই যাদের ত্বক সংবেদনশীল তারা অবশ্যই বাজার থেকে একটু যাচাই বাছাই করে কিনবেনএমন পরামর্শ দিয়েছেন মেহেদি আর্টিস্ট সায়কা শাহরিন দিশা। তিনি জানানসংবেদনশীল ত্বকের যারাতাদের অতিরিক্ত কেমিক্যাল দেয়া মেহেদি ব্যবহার না করাই ভালো। বিশেষ করে বাজারে সহজলভ্য কালো মেহেদি আর ইন্সট্যান্ট মেহেদিতে প্রচুর কেমিক্যাল দেয়া থাকে। দিশা বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে আমি বাজার থেকে ইন্সট্যান্ট মেহেদি কিনেছিলাম। তা দেয়ার কিছু সময় পর বেসিনে গিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হয়। সেই মেহেদির কিছু অংশ আমার বেসিনে পড়েছিলওই দাগ এখনো যায়নি বেসিন থেকে। যে দাগ বেসিনের মতো জায়গায় এমন বাজেভাবে আটকে যায়বুঝতে পারছেন সেই দাগ আমাদের ত্বকে কতোটা বাজে প্রভাব ফেলবে।
তাহলে মেহেদির জন্য নির্ভর করা যায় কিসের ওপরএর জবাবে দিশা বলেন, ‘আমি বরাবরই মেহেদির ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের ওপর নির্ভর করি। ভালো ব্র্যান্ডেরভালো শো-রুম থেকে মেহেদি কিনে থাকি। কারণ সস্তা এবং সহজলভ্য মেহেদি কিনে ত্বকের সঙ্গে অন্যায় করা মোটেও উচিত হবে না।
ঈদকে সামনে রেখেই আরেক মেহেদি আর্টিস্ট রোমানা হোসেনও একই কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মেহেদি নিয়ে মেয়েদের আগ্রহ বরাবরই বেশি। প্রচলিত আছে মেহেদির রঙ যতো গাঢ় হয়প্রিয় মানুষটা তাকে ততোই বেশি ভালোবাসবে। তাই হাতের মেহেদিকে সবার চেয়ে গাঢ় করার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকে প্রত্যেকেই। কিন্তু এমন করতে গিয়ে কেমিকালযুক্ত মেহেদি ব্যবহার করে ত্বকের ক্ষতি করে অনেকে। তাই পরামর্শ থাকবে মেহেদি কেনার বেলায় একটু সজাগ থাকার। রোমানা জানানঈদের জন্য তিনি বিহারি মেহেদি ব্যবহার করে থাকেন। এ মেহেদী খুব একটা সহজলভ্য নয়। তাই আশপাশের যেকোন দোকান থেকে বিহারি মেহেদি না কেনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেনপুরান ঢাকার বিহারি মেহেদির ওপর ভরসা করতে পারে তরুণীরা। পুরান ঢাকার চক বাজারে একটু খোঁজ করলেই মিলবে তা। রোমানা আরো জানান,ঈদে অনেকেই এখন মেহেদি আর্টিস্টদের কাছ থেকে হাত রাঙাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। কারণ ঈদের আগে পার্লারে প্রচুর ভিড় হয়। শুধু মেহেদি নয়আরো অনেক সার্ভিসের জন্যই নারীরা ভিড় করে পার্লারে। তাই শুধু মেহেদি দেয়ার জন্য পার্লারে যাওয়া চেয়ে অনেকেই ইদানিং মেহেদি আর্টিস্ট বুকিং দিয়ে রাখছে। যদি একজনের হাত রাঙাতে হয়তাহলে মেহেদি আর্টিস্টের কাছে গিয়ে দেয়া যায়কিংবা কয়েকজন একবারে মেহেদি দিতে চাইলে আর্টিস্টকেই বাড়ি নিয়ে আসা যায়। সেক্ষেত্রে নকশায় নৈপুণ্য ও নিখুঁতভাবও থাকে।
একদিকে চাঁদরাতে রান্না করা মায়েদের ধোঁয়া ওঠা সেমাই-পায়েসের ঘ্রাণ, অন্যদিকে মেহেদি পাতার গন্ধ- দুইয়ে মিলে এক নতুন সৌরভ ছড়িয়ে দিত ঘরজুড়ে
একদিকে চাঁদরাতে রান্না করা মায়েদের ধোঁয়া ওঠা সেমাই-পায়েসের ঘ্রাণ, অন্যদিকে মেহেদি পাতার গন্ধ- দুইয়ে মিলে এক নতুন সৌরভ ছড়িয়ে দিত ঘরজুড়ে
এবার আসা যাক এই ঈদের মেহেদি আয়োজনে। এরই মধ্যে শহরের নানান জায়গায় ঈদকে সামনে রেখে শুরু হয়ে গেছে মেহেদি উৎসবের আয়োজন। মেহেদির নকশায় তরুণীদের পছন্দে আছে ফ্লোরালজিওম্যাট্রিক,ক্যালিগ্রাফিকট্র্যাডিশনাল মোটিফ। কেউ কেউ আবার ঘরে বানানো মেহেদি কোনও ব্যবহার করবেন মেলায়। তাই আর অপেক্ষা কিসের?আজই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে নিন হাত রাঙাবেন কোন উপায়েপার্লারেমেলায় নাকি মেহেদি আর্টিস্টের কাছে গিয়েজলদিঈদ চলে এল বলে … 
ছবি: আয়নাঘর, দিশা’স রোডব্লক, তুলেছেন- ফয়সাল মাসুম

কোরবানীর প্রস্তুতি এবং সচেতনতা

কোরবানীর প্রস্তুতি এবং সচেতনতা

যে কোন ইভেন্ট বা কর্মযজ্ঞ সফল করে তুলতে হলে প্রয়োজন সঠিক পূর্বপ্রস্তুতির। প্রতিটি সফল ইভেন্টের পেছনে রয়েছে এর জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ এবং সঠিক পরিকল্পনা। উৎসবের আমেজ নিয়ে আসছে কোরবানী ঈদ। স কালে নামাজ পরেই    কোরবানীর জন্য প্রস্তুতি আর তারপর মাংস ভাগ-বাটোয়ারা করতে করতে সময় কিভাবে যায়টেরই পাওয়া যায় না। এতো ঝক্কি-ঝামেলার মাঝে মেজাজ এমনিতেই বিগড়ানো থাকেতার উপর যদি দেখা যায় যে কোন কাজই ঠিকঠাকমত হচ্ছে না তাহলে তখন মেজাজ যে কোন পর্যায়ে থাকতে পারে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এরকমটি ঘটলে বুঝতে হবে কোরবানী ঈদ উপলক্ষে আপনার পূর্ব প্রস্তুতি ও প্ল্যানিং এর ঘাটতি ছিল। তাইজেনে নেয়া যাক কুরবানি ঈদ উপলক্ষে কি ধরনের প্রস্তুতি নেয়া যেতে পারেন। লিখেছেন হাসনাত পিয়াস।
ঈদের আগে
পশুর হাটে চুরি-ছিনতাই এবং প্রতারণা প্রায়শঃ ঘটে থাকে। তাই এ ধরনের অনভিপ্রেত ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে চেষ্টা করুন হাটে একা না গিয়ে ২/৩ জন মিলে দল বেঁধে যাবার।
পশু কেনার পর হাসুলি প্রদানের রশিদ ঠিকমত বুঝে নিন ।
পশু ক্রয়ের পূর্বে কোন ধরনের পশু কোরবানীর যোগ্য তা ভালোভাবে জেনে নিন। নয়তো দেখা যাবে আপনার কষ্ট করে কেনা পশুটি হয়তো কোরবানী দেওয়ার জন্য ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী হারামের তালিকাভুক্ত।
খরগাছের পাতাভুষিঘাস ইত্যাদি আগে থেকেই সংগ্রহ করে রাখুন।
মাংস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীযেমনবিভিন্ন সাইজের ছুরিচাপাতিবাঁটকাঠের গুড়িচট ইত্যাদি আনুসাঙ্গিক সামগ্রী সংগ্রহ করে রাখুন। ছুরিচাপাতি এগুলো আগেই ভালো করে ধার দিয়ে রাখুন। রাজধানীর কাওরান বাজারপোস্তগোলানিউ মার্কেটগুলিস্তানসদরঘাটনবাবপুরসহ কমবেশি সর্বত্রই পাওয়া যাবে এই সরঞ্জাম।
এ সময় কসাইদের দেখা পাওয়া যেন আকাশের চাঁদ পাবার সমতুল্য। দেখবেন অনেক আগে থেকেই সবাই কোন না কোন জায়গায় বুকিং হয়ে গিয়েছেন। তাই যত দ্রুত সম্ভব কসাই-এর সাথে কথা বলে রাখুন। পরে যেন কসাই না আসার কারণে বিপদে পড়তে না হয় সে জন্য দরকার হলে কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে বুকিং রাখুন।
যাদের জায়গার সমস্যা রয়েছেতাদের বেশিদিন আগে পশু ক্রয় না করাই ভালো।
যে স্থানে পশু রাখবেন সেটি নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।
কোরবানীর সময়
দক্ষ এবং অভিজ্ঞ লোক দিয়ে পশু কোরবানী করানো উচিত। 
পশু কেনার পর হাসুলি প্রদানের রশিদ ঠিকমত বুঝে নিন
পশু কেনার পর হাসুলি প্রদানের রশিদ ঠিকমত বুঝে নিন
কোরবানী করার সময় আশেপাশে শিশুদের না রাখাই উত্তম। কারণ কোরবানীর প্রস্তুতি এবং রক্তের কারণে শিশুদের মাঝে ভয়ের সঞ্চার করতে পারে।
অনেক সময় জবাইকৃত অবস্থা থেকেই গরু উঠে ছুটাছুটি করতে পারে। তাই আশেপাশে কাউকে ভিড়তে না দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে রাখা উচিত।
চামড়া ছাড়াতে হবে খুব সাবধানে। চামড়া কেটে গেলে এর মূল্য অনেক কমে যায়।
কাজ করতে করতে অনেকেই দুপুরে খাবারের সময় করতে পারে না। তাই কাজের ফাঁকে সবাই যেন খাওয়া-দাওয়া করে নিতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে।
কোরবানীর পর
পশু জবাই ও মাংস কাটা পরবর্তী একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল কুরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা। যত্রতত্র বর্জ্য না ফেলে একটি গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে ফেলতে হবে। আর বেশি করে পানি দিয়ে কোরবানীর স্থান ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। আর ব্যাবহৃত সামগ্রি এন্টিসেপ্টিক দিয়ে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।
মাংস সংরক্ষণ
সঠিকভাবে কোরবানীর মাংস সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি যেন তা দীর্ঘদিন টাটকা থাকে।
সঠিকভাবে কোরবানীর মাংস সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি যেন তা দীর্ঘদিন টাটকা থাকে।
সঠিকভাবে কোরবানীর মাংস সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি যেন তা দীর্ঘদিন টাটকা থাকে।
ফ্রিজে মাংস সংরক্ষণের ক্ষেত্রে মাংসগুলো বড় বড় টুকরো করে রাখা উচিত।
পলিব্যাগ কিংবা প্লাস্টিকের ব্যাগে মুড়িয়ে মাংস ফ্রিজে রাখতে হবে। ফ্রিজের তাপমাত্রা মাইনাস বিশ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকাই উত্তম।
ফ্রিজ ছাড়া মাংস সংরক্ষণ করতে হলে প্রথমেই মাংস কেটে পানিতে ধুয়ে নিন। এরপর গরম তেল ডুবানো হাড়িতে মাংস ঢেলে খুব ভালোভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে। এভাবে তেলে ডুবানো মাংস ১/২ দিন পর পর গরম করে করে অনেক দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
আর একটি বিষয়অনেকেই ফ্রিজে পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে মাংস সংরক্ষণ করা নিয়ে বিপদের সম্মুখীন হন। তাইআগেই ফ্রিজ যতোটা সম্ভব খালি করে ফেলা উচিত যেন মাংস রাখতে কোন ঝামেলা না হয়।
কোরবানীর শত ব্যস্ততার মাঝেও এই অতি সাধারণ কিছু নিয়ম হয়তো আপনার কাজের চাপকে কিছুটা হলেও কমিয়ে দিবে। সঠিক পরিকল্পনা আর প্রস্তুতি থাকলে দেখা যাবে অন্যান্যরা যখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কাজ করেই যাচ্ছে আপনি তখন ঈদের আনন্দে শামিল হয়েছেন প্রিয়জনদের সঙ্গে।

Daily News পরামর্শ মাইক্রোসফট এক্সেল টিউটোরিয়াল Top News পৃথিবীর বাংলা খবর মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টিউটোরিয়াল সুস্থ সুন্দর থাকার জন্য CA Study English News বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল Bangladesh Local News oDesk test answers ওডেস্ক ফ্রিল্যান্সিং ব্লগার ব্লগ টিউটরিয়াল ঈদূল-আজ-হা অন্যান্য ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ঘড়োয়া টুকিটাকি Mobile AD NG ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টিনেজার ব্লগিং গুল অ্যাডসেন্স Eid-ul-Azha IELTS International Photoshop আজকের আলোচিত খেলা ডাউনলোড ফটোশপ লাইফ স্টাইল Admission BCS Preparation Bangla Vedio Song Book Comilla Craigslist Download Elance Facebook Gazipur Google Gre Word IELTS Vocabulary Japan Khulna Math Tutor Money Mymensingh PHP Personal Short Film Shortcut Key Technology Texas Vocabulary Windows Youtube আজ থেকে টানা ৬০ ঘণ্টা হরতাল উইন্ডোজ টিউটোরিয়াল কোরবানীর প্রস্তুতি গ্রী ওয়ার্ড ছবি ঘড় জুমলা বরতমান বৈদেশিক সম্পর্ক মাইক্রোসফট অফিস টিউটোরিয়াল মেহেদি রাজনিতি রুপ-চরচা সাক্ষাৎকার হরতালের আগেই বোমা হামলা
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...