সিরিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে ইসরাইলি বিমান হামলা
সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির সব উপকরণ ধ্বংস করা হয়েছে :ওপিসিডাব্লিউ
এএফপি, আল জাজিরা, বিবিসি
সিরিয়ার
লাতাকিয়া বন্দরের কাছে একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে
ইসরাইল। সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপ ও যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি
দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। তবে হামলার বিষয়টি
স্বীকার করেনি ইসরাইলি সরকার। এদিকে, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির সব
উপকরণ পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওপিসিডাব্লিউ।ওবামা প্রশাসনের নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ওই সামরিক ঘাঁটি থেকে লেবাননের হিজবুল্লাহ মিলিশিয়াদের ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে এমন সন্দেহে ঘাঁটিতে মোতায়েন ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ঐ বন্দর শহরের একটি বড় অংশ সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সিরিয়ার বিমান বাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা থেকে পক্ষত্যাগী লাতাকিয়া এলাকার সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন একটি সূত্র জানিয়েছে, লাতাকিয়ার আইন শিকাক গ্রামের কাছের ওই ঘাঁটিতে সিরিয়ার দীর্ঘ পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার ওপর হামলা চালায় ইসরাইল। রাশিয়ার নির্মিত এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অন্যতম বলে জানিয়েছেন আফাক আহমদ নামের সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, 'এই বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করবো না।' এর আগে চলতি বছরে সিরিয়ায় ইসরাইলের চালানো আগের অন্তত তিনটি হামলার বিষয়েও ইসরাইলি সরকার প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইসরাইলি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তিনি মনে করেন, বাস্তবিকই ইসরাইল এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। তবে এ বিষয়ে তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত নন। এর আগে জানুয়ারিতে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কাছে এক অস্ত্র গুদামে হামলা চালিয়েছিল ইসরাইল। এরপর মে'তে লাতাকিয়ার কাছে নৌবাহিনীর স্থাপনার ওপর দুবার হামলা চালিয়েছিল দেশটি।
এদিকে, সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির সব উপকরণ পুরোপুরি ধ্বংস করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র নিরস্ত্রিকরণ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউ। ওপিসিডাব্লিউ রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংসের জন্য সিরিয়া সরকারকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। সংগঠনটি জানায়, অস্ত্রপরিদর্শক দল সিরিয়া জুড়ে ২৩টি রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডারের মধ্যে ২১টি পরিদর্শন করেছে।অন্য দুটি অস্ত্রভাণ্ডার পরিদর্শন করা বিপজ্জনক। তবে রাসায়নিক যন্ত্রপাতি অন্য জায়গায় হস্তান্তর করা হয়েছে।