ইত্তেফাক ডেস্ক
গুপ্তচরবৃত্তিতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি। যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারি নিয়ে ইউরোপীয় মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে তীব্র টানাপোড়েন চলার মধ্যে কেরিই ওবামা প্রশাসনের সবচেয়েঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যিনি একথা স্বীকার করলেন। ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) এ ধরনের আপত্তিকর কাজ রোধে তিনি প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে কাজ করবেন বলে জানান।যুক্তরাষ্ট্রের আড়িপাতার অভিযোগ কেবল ইউরোপীয় দেশগুলোতেই নয় শোনা যাচ্ছে এশিয়ার দেশগুলোতেও। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন গোয়েন্দা নেটওয়ার্কে আওতায় অস্ট্রেলিয়া গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। চীন গুপ্তচরবৃত্তির খবরের ব্যাখ্যা দাবি করেছে। ওদিকে, ইন্দোনেশিয়াও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতকে জাকার্তায় ডেকে পাঠিয়েছে। গুপ্তচরবৃত্তি নিয়ে বিশ্বে ক্রমবরধমান এ অসন্তোষের মুখে কেরি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওই স্বীকারোক্তি দেন। তিনি বলেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মার্কিন গোয়েন্দা তত্পরতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
তবে একই সঙ্গে তিনি গোয়েন্দা তত্পরতার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেন, আড়িপাতার কারণেই সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে। সবাইকে ঢালাওভাবে আড়িপাতার প্রক্রিয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে না এ আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ব্যাখ্যা দাবি চীনের : এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মসূচীর বিষয়ে দেশটির কাছে ব্যাখ্যা দাবি করেছে চীন। দেশটির বেইজিং, সাংহাইসহ অন্যান্য শহরে মার্কিন মিশন গোপনে নজরদারি চলাচ্ছে বলে খবর প্রকাশের পর চীন এ ব্যাখ্যা চাইলো। এ খবরে চীনের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র হুয়া চানইং বৃহস্পতিবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের বলেন,আমরা এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা দাবি করছি। তিনি বলেন, চীনে আমাদের দরকার বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মিশন। যারা আন্তর্জাতিক ধারাগুলো কঠোরভাবে মেনে চলবে। তারা এমন কোন কাজ করবেনা যাতে চীনের নিরাপত্তা ও স্বার্থের হানি হয়।