সংলাপ বা আলোচনার মাধ্যমে নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থার দাবি বাস্তবায়ন হবে,
এমনটি আর আশা করছে না বিএনপি। যার কারণে সরকারের পক্ষ থেকে আবার আমন্ত্রণের
দিকে তাকিয়ে না থেকে আন্দোলন বেগবান করারই নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন,
আন্দোলনের মাধ্যমেই সমাধান বের করে আনতে হবে। আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত
পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারলে 'যে কোনো ধরনের' একটি সমাধান আসবে বলে তাদের
বিশ্বাস।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ও ১৮ দলের শরিক দলগুলোর কয়েক নেতার সঙ্গে পৃথকভাবে আলাপ করে জানা গেছে, মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এবং পরদিন ১৮ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় খালেদা জিয়া স্পষ্ট করেই বলেছেন 'নির্দলীয় সরকারের বাইরে অন্য কোনো ফর্মুলা আমরা মানব না। সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে হলে কেবল এ নিয়েই হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে শুধু তার দেয়া প্রস্তাব সর্বদলীয় সরকার নিয়ে আলোচনার কথা বলেছেন। এখন সরকার আমাদের আর আমন্ত্রণ জানালো কি জানালো না, সেদিকে তাকাবার সময় নেই। আন্দোলনই এখন একমাত্র পথ'।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইত্তেফাককে বলেন, সরকার যদি নির্দলীয় ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়, তাহলেই কেবল আমরা তাদের সঙ্গে বসতে পারি। অন্যথায় আলোচনার কিছু নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যদি তাদের অবস্থানে অটল থাকে তাহলে আমাদের সামনে পথ একটিই। আর তা হলো আন্দোলন। তিনি জানান, দাবি আদায়ের জন্য যত ধরনের কর্মসূচি দেয়ার দরকার হবে, উদ্ভূত পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবকিছুই করা হবে।
ফখরুল বলেন, 'জনমত আমাদের পক্ষে, সে কারণেই দাবি বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এখন প্রশ্ন—সেই সমাধান কি আলোচনার মাধ্যমে নাকি আন্দোলনে। যদি আলোচনার মাধ্যমে না হয়, তাহলে আন্দোলনেই সমাধান মিলবে।' অবশ্য সেই সমাধানের ধরন নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
তবে সমাধানের এই 'ধরন' বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, ২০১৪ সালেও ক্ষমতায় থাকার চিন্তা সরকার মাথা থেকে ফেলে দিলেই সংকট কেটে যাবে। এখন সরকার যদি মনে করে যে কোনো উপায়ে তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবেই, অন্যদিকে আমরাও যদি বিরতিহীন কর্মসূচিতে চলে যাই-তাহলে যা হবার তাই হবে। তখন কোনো না কোনোভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সেরকম কিছু হলে ক্ষতিটা আওয়ামী লীগেরই বেশি হবে।
উদাহরণ টেনে খোকা বলেন, ২০০৬ সালে আমরা (বিএনপি) যদি বাড়াবাড়ি না করতাম, তাহলে দেশে ১/১১ আসে না, বিএনপির ওপর দিয়েও এত ঝড়-ঝাপটা যেত না। তখন বিএনপি বিরোধী দলে যেত। তাছাড়া ২০১২ সালের নির্বাচনে আবারও বিএনপিই ক্ষমতায় আসতে পারতো। সেটি হলে এখন বিএনপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষ চলতো। কিন্তু বাড়াবাড়ির কারণে আমরা এতকিছু লস করেছি। একইভাবে আওয়ামী লীগও যদি এখন বাড়াবাড়ি না করে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেয়, তাহলে বড় জোর তারা এবার ক্ষমতায় না এসে ২০১৯ সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করছেন-আন্দোলন তীব্র করতে পারলে একতরফা নির্বাচনের চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তে সরকার সমঝোতার পথ ধরবে। আর তা না হলে পরিস্থিতির কারণে অন্য কোনোভাবে সমাধান আসবে বলে ধারণা করছেন দলটির এই নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল আউয়াল মিন্টু ইত্তেফাককে বলেন, 'সরকার দাবি মেনে নিলে সবার জন্য ভালো। আর না মানলে অন্যকিছু হলে তাতে বিএনপির খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কি আছে। কেননা এসব ক্ষেত্রে বিদায়ী সরকারি দলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।'
৪-৬ নভেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে নানা মত
টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের পর পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি ও ১৮ দলে নানা মত রয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক ও বুধবার ১৮ দলের বৈঠকে আগামী ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী টানা হরতাল কর্মসূচি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করার দায়িত্ব ১৮ দল নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ থেকে ৬ নভেম্বর হরতাল কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি ও জোটে নতুন করে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। কেউ মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যেহেতু আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে বলা হচ্ছে, সে কারণে কয়েকদিন হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না রাখা সমীচীন হবে। একইসঙ্গে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেও এসময়ে হরতাল কর্মসূচি না দেয়ার পক্ষে এই অংশটি। তারা মনে করছেন, এই কয়েকদিন হরতাল দেয়া হলে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এই মতের নেতারা মনে করছেন, যেহেতু ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদ অধিবেশ চলবে, তাই এই সময়ের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেয়া যেতে পারে।
আবার বিএনপি ও ১৮ দলের অপর একটি অংশের মতে, আন্দোলনে বিরতি দেয়া হলে নেতা-কর্মীরা মনোবল হারিয়ে ফেলবে। এই ফাঁকে সরকার নতুন কোনো কৌশল নিয়ে বিরোধী জোটকে সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। এজন্য ৪ থেকে ৬ নভেম্বর টানা হরতাল কর্মসূচি দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এই মতভিন্নতার মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে গতরাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া আজ শনিবার সকাল ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ১৮ দলের মহাসচিবদের বৈঠক হবে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হবে। একাধিক সূত্র জানায়, তিন দিন হোক আর দু'দিন হোক-হরতালের কর্মসূচি আসার সম্ভাবনাই বেশি।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই চূড়ান্ত আন্দোলন
জানা গেছে, নির্দলীয় সরকারের দাবির বিষয়টি অমীমাংসিত থাকাবস্থায় এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেই আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচিতে চলে যাবে ১৮ দল। জোট নেতারা ধারণা করছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি ইসি তফসিল ঘোষণা করতে পারে। তফসিলের পর থেকেই কার্যত অসহযোগ আন্দোলন পর্ব শুরু হবে। এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও এবং দেশব্যাপী টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ও ১৮ দলের শরিক দলগুলোর কয়েক নেতার সঙ্গে পৃথকভাবে আলাপ করে জানা গেছে, মঙ্গলবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এবং পরদিন ১৮ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় খালেদা জিয়া স্পষ্ট করেই বলেছেন 'নির্দলীয় সরকারের বাইরে অন্য কোনো ফর্মুলা আমরা মানব না। সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে হলে কেবল এ নিয়েই হতে পারে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে শুধু তার দেয়া প্রস্তাব সর্বদলীয় সরকার নিয়ে আলোচনার কথা বলেছেন। এখন সরকার আমাদের আর আমন্ত্রণ জানালো কি জানালো না, সেদিকে তাকাবার সময় নেই। আন্দোলনই এখন একমাত্র পথ'।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইত্তেফাককে বলেন, সরকার যদি নির্দলীয় ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ নেয়, তাহলেই কেবল আমরা তাদের সঙ্গে বসতে পারি। অন্যথায় আলোচনার কিছু নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার যদি তাদের অবস্থানে অটল থাকে তাহলে আমাদের সামনে পথ একটিই। আর তা হলো আন্দোলন। তিনি জানান, দাবি আদায়ের জন্য যত ধরনের কর্মসূচি দেয়ার দরকার হবে, উদ্ভূত পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবকিছুই করা হবে।
ফখরুল বলেন, 'জনমত আমাদের পক্ষে, সে কারণেই দাবি বাস্তবায়ন হওয়া নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো সন্দেহ নেই। এখন প্রশ্ন—সেই সমাধান কি আলোচনার মাধ্যমে নাকি আন্দোলনে। যদি আলোচনার মাধ্যমে না হয়, তাহলে আন্দোলনেই সমাধান মিলবে।' অবশ্য সেই সমাধানের ধরন নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।
তবে সমাধানের এই 'ধরন' বিষয়ে কিছুটা ইঙ্গিত দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা। তিনি ইত্তেফাককে বলেন, ২০১৪ সালেও ক্ষমতায় থাকার চিন্তা সরকার মাথা থেকে ফেলে দিলেই সংকট কেটে যাবে। এখন সরকার যদি মনে করে যে কোনো উপায়ে তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবেই, অন্যদিকে আমরাও যদি বিরতিহীন কর্মসূচিতে চলে যাই-তাহলে যা হবার তাই হবে। তখন কোনো না কোনোভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। সেরকম কিছু হলে ক্ষতিটা আওয়ামী লীগেরই বেশি হবে।
উদাহরণ টেনে খোকা বলেন, ২০০৬ সালে আমরা (বিএনপি) যদি বাড়াবাড়ি না করতাম, তাহলে দেশে ১/১১ আসে না, বিএনপির ওপর দিয়েও এত ঝড়-ঝাপটা যেত না। তখন বিএনপি বিরোধী দলে যেত। তাছাড়া ২০১২ সালের নির্বাচনে আবারও বিএনপিই ক্ষমতায় আসতে পারতো। সেটি হলে এখন বিএনপি সরকারের দ্বিতীয় বর্ষ চলতো। কিন্তু বাড়াবাড়ির কারণে আমরা এতকিছু লস করেছি। একইভাবে আওয়ামী লীগও যদি এখন বাড়াবাড়ি না করে নির্দলীয় সরকারের দাবি মেনে নেয়, তাহলে বড় জোর তারা এবার ক্ষমতায় না এসে ২০১৯ সালের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা মনে করছেন-আন্দোলন তীব্র করতে পারলে একতরফা নির্বাচনের চিন্তা-ভাবনার পরিবর্তে সরকার সমঝোতার পথ ধরবে। আর তা না হলে পরিস্থিতির কারণে অন্য কোনোভাবে সমাধান আসবে বলে ধারণা করছেন দলটির এই নেতারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্দুল আউয়াল মিন্টু ইত্তেফাককে বলেন, 'সরকার দাবি মেনে নিলে সবার জন্য ভালো। আর না মানলে অন্যকিছু হলে তাতে বিএনপির খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার কি আছে। কেননা এসব ক্ষেত্রে বিদায়ী সরকারি দলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।'
৪-৬ নভেম্বরের কর্মসূচি নিয়ে নানা মত
টানা ৬০ ঘণ্টার হরতালের পর পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি ও ১৮ দলে নানা মত রয়েছে। মঙ্গলবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক ও বুধবার ১৮ দলের বৈঠকে আগামী ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর দেশব্যাপী টানা হরতাল কর্মসূচি দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তবে বিষয়টি চূড়ান্ত করার দায়িত্ব ১৮ দল নেত্রী খালেদা জিয়ার ওপর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪ থেকে ৬ নভেম্বর হরতাল কর্মসূচি নিয়ে বিএনপি ও জোটে নতুন করে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। কেউ মনে করছেন, সরকারের পক্ষ থেকে যেহেতু আলোচনার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে বলা হচ্ছে, সে কারণে কয়েকদিন হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি না রাখা সমীচীন হবে। একইসঙ্গে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবং জেএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেও এসময়ে হরতাল কর্মসূচি না দেয়ার পক্ষে এই অংশটি। তারা মনে করছেন, এই কয়েকদিন হরতাল দেয়া হলে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া এই মতের নেতারা মনে করছেন, যেহেতু ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদ অধিবেশ চলবে, তাই এই সময়ের মধ্যে আলোচনার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেয়া যেতে পারে।
আবার বিএনপি ও ১৮ দলের অপর একটি অংশের মতে, আন্দোলনে বিরতি দেয়া হলে নেতা-কর্মীরা মনোবল হারিয়ে ফেলবে। এই ফাঁকে সরকার নতুন কোনো কৌশল নিয়ে বিরোধী জোটকে সমস্যায় ফেলে দিতে পারে। এজন্য ৪ থেকে ৬ নভেম্বর টানা হরতাল কর্মসূচি দেয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তারা।
এই মতভিন্নতার মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে গতরাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আলাপ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া আজ শনিবার সকাল ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ১৮ দলের মহাসচিবদের বৈঠক হবে। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হবে। একাধিক সূত্র জানায়, তিন দিন হোক আর দু'দিন হোক-হরতালের কর্মসূচি আসার সম্ভাবনাই বেশি।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই চূড়ান্ত আন্দোলন
জানা গেছে, নির্দলীয় সরকারের দাবির বিষয়টি অমীমাংসিত থাকাবস্থায় এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করলেই আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচিতে চলে যাবে ১৮ দল। জোট নেতারা ধারণা করছেন, নভেম্বরের মাঝামাঝি ইসি তফসিল ঘোষণা করতে পারে। তফসিলের পর থেকেই কার্যত অসহযোগ আন্দোলন পর্ব শুরু হবে। এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও এবং দেশব্যাপী টানা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে।