ইত্তেফাক রিপোর্ট
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা ৬০ ঘন্টার হরতাল গতকাল সোমবার আবারো শুরু হয়েছে। হরতালের প্রথম দিনে গতকাল প্রাণ দিতে হয়েছে তিনজনকে। এর মধ্যে একজন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও অন্য দু'জন কোনভাবেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু রাজনীতির নামে ক্ষমতায় যাবার এই খেলায় প্রাণ দিতে হয়েছে তাদের দু'জনকেও। রাজনীতি করলে নিজের দল ক্ষমতায় গেলে পরিবারের কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যারা নিরীহ মানুষ, রাজনীতি করেন না তাদের কারো মৃত্যু মানেই পরিবার পড়ে যায় ভয়াবহ এক সংকটে। কেউ কোন খোঁজ নেয় না।
গতকাল হরতালের শুরুতে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নাসির হোসেন নিহত হয়েছেন। নাটোরের গুরুদাসপুরে পিকেটাররা একটি ট্রাককে ধাওয়া দিলে ট্রাক থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে দিনমজুর ইসাহক আলী সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়।
এদিকে চট্টগ্রামে পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে টেম্পু উল্টে গিয়ে আহত যাত্রী মো. জাকির হোসেনকে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ১
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ও পাটগ্রাম সংবাদদাতা জানান, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নাসির হোসেন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইদুকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় পৌর শহরের ধরলা সেতুর সোহাগপুর মোড়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাধা প্রদান করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। বিএনপি কর্মীদের হটাতে একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টু মিয়ার ছেলে নাসির নিহত হন। মোহাম্মদ আলী (মোহাম্মদ পাগলা) গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই রমজান আলী, ইয়াকুব আলী, কনস্টেবল নাসির উদ্দিন, আবুল হোসেন, আব্দুল খালেক আহত হয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি'র মোস্তফা কামাল রানা, সাইদুল, রাজিব ও আওয়ামী লীগ কর্মী তাজু, রানা, তাইফুল, আসাদুল, রাশিদুল ইসলাম পাখি প্রমুখ।
পাটগ্রাম থানার ওসি সোহরাব হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ নিহত হননি।
গুরুদাসপুরে প্রাণ গেল শ্রমিকের
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, হরতালের প্রথম প্রহরেই প্রাণ গেল ইসাহক আলী নামে একজন শ্রমিকের। সকাল সাতটার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে তিনি আহত হন। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামের খইমুদ্দিনের ছেলে। ওই ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
নিহতের সঙ্গী চাচা দিনমজুর আব্দুস সালাম জানান, গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্টারে 'পিকেটিং ইনজুরিতে' ওই দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হলে লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রাক থেকে নামতে গিয়েই ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ দাবি করেন, তার সমর্থকরা নয়াবাজারে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন, কোন যানবাহনকে আক্রমণ করেননি। দিনমজুরের মৃত্যুর ঘটনাটি হরতালের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
চট্টগ্রামে টেম্পু যাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম অফিস জানায়, সকাল ১০টায় নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট কালুরঘাট সড়কের শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্পের সামনের রাস্তায় পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি টেম্পু উল্টে যায়। এতে জাকির হোসেনসহ কয়েক যাত্রী গুরুতর আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর বেলা ২টায় জাকির হোসেন মারা যান। জাকির কালুরঘাট এলাকায় সিঅ্যান্ডএ গ্রুপের একটি গার্মেন্টসে কমার্শিয়াল ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন। তিনি দামপাড়া ১ নং গলির বাসিন্দা মো. আলী হোসেনের ছেলে।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা ৬০ ঘন্টার হরতাল গতকাল সোমবার আবারো শুরু হয়েছে। হরতালের প্রথম দিনে গতকাল প্রাণ দিতে হয়েছে তিনজনকে। এর মধ্যে একজন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও অন্য দু'জন কোনভাবেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। কিন্তু রাজনীতির নামে ক্ষমতায় যাবার এই খেলায় প্রাণ দিতে হয়েছে তাদের দু'জনকেও। রাজনীতি করলে নিজের দল ক্ষমতায় গেলে পরিবারের কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু যারা নিরীহ মানুষ, রাজনীতি করেন না তাদের কারো মৃত্যু মানেই পরিবার পড়ে যায় ভয়াবহ এক সংকটে। কেউ কোন খোঁজ নেয় না।
গতকাল হরতালের শুরুতে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নাসির হোসেন নিহত হয়েছেন। নাটোরের গুরুদাসপুরে পিকেটাররা একটি ট্রাককে ধাওয়া দিলে ট্রাক থেকে তাড়াহুড়া করে নামতে গিয়ে দিনমজুর ইসাহক আলী সড়কে পড়ে গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে ভর্তির পর তার মৃত্যু হয়।
এদিকে চট্টগ্রামে পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে টেম্পু উল্টে গিয়ে আহত যাত্রী মো. জাকির হোসেনকে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, নিহত ১
লালমনিরহাট প্রতিনিধি ও পাটগ্রাম সংবাদদাতা জানান, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএনপি-আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে পৌর ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক নাসির হোসেন নিহত হয়েছেন। এছাড়া উভয় দলের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইদুকে গুরুতর আহত অবস্থায় রংপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় পৌর শহরের ধরলা সেতুর সোহাগপুর মোড়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের কর্মীরা মিছিল নিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা বাধা প্রদান করেন। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। বিএনপি কর্মীদের হটাতে একপর্যায়ে পুলিশ শটগানের গুলি ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের গুলিতে সোহাগপুর ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিন্টু মিয়ার ছেলে নাসির নিহত হন। মোহাম্মদ আলী (মোহাম্মদ পাগলা) গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষে পুলিশের এসআই রমজান আলী, ইয়াকুব আলী, কনস্টেবল নাসির উদ্দিন, আবুল হোসেন, আব্দুল খালেক আহত হয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি'র মোস্তফা কামাল রানা, সাইদুল, রাজিব ও আওয়ামী লীগ কর্মী তাজু, রানা, তাইফুল, আসাদুল, রাশিদুল ইসলাম পাখি প্রমুখ।
পাটগ্রাম থানার ওসি সোহরাব হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়েছে। তবে পুলিশের গুলিতে কেউ নিহত হননি।
গুরুদাসপুরে প্রাণ গেল শ্রমিকের
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি জানান, হরতালের প্রথম প্রহরেই প্রাণ গেল ইসাহক আলী নামে একজন শ্রমিকের। সকাল সাতটার দিকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার আইড়মারী ব্রিজ এলাকায় পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে তিনি আহত হন। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার দক্ষিণ মথুরাপুর গ্রামের খইমুদ্দিনের ছেলে। ওই ঘটনায় দুপুর পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
নিহতের সঙ্গী চাচা দিনমজুর আব্দুস সালাম জানান, গুরুদাসপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সকাল পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের ভর্তি রেজিষ্টারে 'পিকেটিং ইনজুরিতে' ওই দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। থানায় অপমৃত্যু মামলা হলে লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ট্রাক থেকে নামতে গিয়েই ওই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এব্যাপারে নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ১৮ দলীয় সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ দাবি করেন, তার সমর্থকরা নয়াবাজারে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন, কোন যানবাহনকে আক্রমণ করেননি। দিনমজুরের মৃত্যুর ঘটনাটি হরতালের সাথে সম্পৃক্ত নয়।
চট্টগ্রামে টেম্পু যাত্রীর মৃত্যু
চট্টগ্রাম অফিস জানায়, সকাল ১০টায় নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট কালুরঘাট সড়কের শরাফত উল্লাহ পেট্রোল পাম্পের সামনের রাস্তায় পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি টেম্পু উল্টে যায়। এতে জাকির হোসেনসহ কয়েক যাত্রী গুরুতর আহত হন। সংকটাপন্ন অবস্থায় চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর বেলা ২টায় জাকির হোসেন মারা যান। জাকির কালুরঘাট এলাকায় সিঅ্যান্ডএ গ্রুপের একটি গার্মেন্টসে কমার্শিয়াল ম্যানেজার পদে চাকরি করতেন। তিনি দামপাড়া ১ নং গলির বাসিন্দা মো. আলী হোসেনের ছেলে।
