বাংলা নিউসপেপার পেজে আপনাকে সাগত / এই সাইট টি সুথু  মাত্র বাংলা নিউস এর জন্য নয় / আমি নেট ঘেটে যখনি ভালো কিছু পাই তখনি এই সাইটে পোস্ট করি যাতে পরবর্তিতে চাইলে একসাথে সব দেখতে পারি / আমার বিশ্বাস আমার ভালোলাগা বিসয়্গুলো আপনার ভালো লাগবে / যদি আপনি খুব বাস্ত না হন এবং আপনার হাতে ২-৩ মিনিট সময় থাকে তাহলে আমি আপনাকে রিকুইস্ট করব সাইট টির হোম (HOME) পেজ ক্লিক করার জন্য যাতে আপনি পুরো সাইট টি দেখতে পারেন / বাংলা নিউসপেপার সাইট টি থেকে যদি আপনাদের এতটুকু সাহায্য করতে পারি  তাহলেই আমার পরিশ্রম সার্থক / আপনাকে আরো একবার আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি / 

20110830

সংগীত শিল্পীদের মঞ্চভীতি দূর করার অভিনব এক উদ্যোগ

পরীক্ষা বা চাকরির ইন্টারভিউ'এর আগে অনেকের মনেই দেখা দেয় তীব্র আতঙ্ক৷ বহু পেশাদার সংগীত শিল্পীও জনসমক্ষে অনুষ্ঠান করতে গেলে বেশ ঘাবড়ে যান৷ ধীরে ধীরে হয়ে পড়েন মানসিক রোগের শিকার৷

অনেক পেশাদার সংগীত শিল্পী অনুষ্ঠানের আগে এতই নার্ভাস হয়ে পড়েন যে, তাদের হৃদকম্প শুরু হয়, হাত পা কাঁপতে থাকে, অসুস্থও হয়ে পড়েন কেউ কেউ৷ এ সম্পর্কে শোনা যাক দুজন শিল্পীর কথা৷ এক বেহালা শিল্পী জানান, ‘‘আমার হাত কাঁপতে থাকে৷ বেহালা বাজাবার জন্য ধনুকটি ঠিকমত ধরে রাখতে পারিনা৷ নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলি৷ অবস্থাটা খারাপের দিকেই যেতে থাকে ক্রমশ৷''

আরেক কন্ঠশিল্পী জানান, ‘‘মনে হয়ে সুইচ টিপে সব বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ আমি স্পষ্ট কোনো চিন্তা করতে পারিনা৷ গান গাওয়া তো দূরের কথা, কেননা নিঃশ্বাস প্রশ্বাস কনসার্টে বাজানোর সময়ও ভুল করার ভয় থাকতে পারে
ওঠানামা করতে থাকে, কন্ঠস্বর কাঁপতে থাকে৷'' 

অনুষ্ঠান করাটা অনেক শিল্পীর কাছে শাস্তি বলে মনে হয়

এই ভাবেই ঘাবড়ে যান বহু থিয়েটার ও কনসার্ট শিল্পী অনুষ্ঠানের আগের মুহূর্তে৷ বুক দুরুদুরু করতে থাকে, কাঁপতে থাকে হাতপা৷ অনেককেই ভয়টা এইভাবে পেয়ে বসে যে, অনুষ্ঠান করাটা রীতিমত শাস্তি বলে মনে হয়৷ এই সব শিল্পীর সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছেন বন বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকের স্নায়ু ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ম্যাহকোর্ন৷ তিনি নিজেও পিয়ানো বাদক বা গায়িকা হতে চেয়েছিলেন, পরে অবশ্য চিকিত্সাবিদ্যা বিশেষ করে মনোরোগকে বেছে নেন৷ পেশাদার সংগীত শিল্পীদের জনসমক্ষে অনুষ্ঠান পরিবেশনের আগে ঘাবড়ে যাওয়ার ব্যাপারটি নিয়ে গবেষণা করছেন এখন ডা. ম্যাহকর্ন৷ এই সব শিল্পীকে সাহায্য করার জন্য বন ইউনিভার্সিটি ক্লিনিকে একটি বিশেষ বিভাগ খুলেছেন তিনি৷ এই প্রসঙ্গে ডা. ম্যাহকোর্ন জানান, ‘‘বহু শিল্পীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার৷ আমার স্বামীও একজন সংগীত শিল্পী৷ শিল্পীদের মঞ্চে যাওয়ার আতঙ্ক সম্পর্কে প্রায়ই শুনেছি তাঁর কাছে৷ আমার অনেক শিল্পী বন্ধুও তাঁদের এই সমস্যার কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘আমরা জানিনা কোথায় গেলে সাহায্য পাব৷ আমাদের সমস্যা বুঝতে পারে, এমন থেরাপিস্টও খুব কম৷' তাঁদের এই সমস্যার কথা আমার মাথা থেকে যায়নি৷ অবশেষে এক্ষেত্রে সাহায্যের জন্য একটি বিশেষ বিভাগ খোলার উদ্যোগ নেই আমি৷ রোগীরা অনেক আগ্রহ নিয়ে আমাদের কাছে আসেন৷ তাঁদের সঙ্গে কাজ করাটা খুবই আনন্দের৷''  

বহু শিল্পী সাহায্যের আশায় আসছেন ক্লিনিকে
ইতোমধ্যে মঞ্চ আতঙ্ক দূর করার এই ক্লিনিকটির কথা ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে৷ তাই প্রতিদিনই সাহায্যের আশায় বহু শিল্পী আসছেন এখানে৷ এই ধরনের ভীতি উপযুক্ত ট্রেনিং ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কমানো যায়৷ তবে এজন্য কিছুটা ধৈর্যের প্রয়োজন৷ ছোট্ট একটি বাগান সংলগ্ন ঘরে থেরাপি দেয়া হয়৷ এই রকম পরিবেশে রোগীরাও মন খুলে কথা বলতে পারেন৷ ডা. ম্যাহকর্নের ভাষায়, ‘‘রোগীদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ সংগীতের ক্লাসে তাঁদের কীরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে, মা বাবার প্রত্যাশাই বা কীরম ছিল, সেসব আমরা জানার চেষ্টা করি৷ তারপর যে পরিবেশে তাঁদের আতঙ্ক দেখা দেয় এবং যে ভাবে তাঁরা এই অবস্থা মোকাবেলার চেষ্টা করেন সেটা বোঝার চেষ্টা করি৷ আতঙ্ক দূর করার চেয়ে রোগীদের নেতিবাচক মনোভাব দূর ঘাবড়ে গেলে আরও ভুল হতে পারে
করাটা বেশি জরুরি৷''ঘাবড়ে গেলে আরও ভুল হতে পারে

ব্যাপারটা অবশ্য সহজ নয়৷ কেননা শিল্পী মহলে মঞ্চ ভীতি নিয়ে খুব একটা উচ্চবাচ্য করা হয়না৷ মনে করা হয় এটা দুর্বলতার পরিচায়ক৷ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ম্যাহকর্ন এখন জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে অর্কেস্ট্রা ও থিয়েটার শিল্পীদের সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন৷ সেসব তিনি বছরের শেষ নাগাদ একটি সমীক্ষায় তুলে ধরবেন৷ ফলে অনেক ভুক্তভোগীই মঞ্চ আতঙ্ক থেকে মুক্ত হতে পারবেন বলে আশা করেন ডা. ম্যাহকর্ন৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘আতঙ্ক জনিত সমস্যায় আচরণ থেরাপি সুফল বয়ে আনে৷ ভীতির কারণগুলি বিশ্লেষণ করে সেই রকম পরিবেশ সৃষ্টি করে ট্রেনিং দেয়া হয়৷ এই ভাবে ভীতির অনুভূতিটা কমে গিয়ে বেড়ে যায় আত্মবিশ্বাস৷''

ভীতি দিয়ে ভীতি দূর করা

রোগীদের হোমটাস্ক দেয়া হয়, যার লক্ষ্য ভীতি উদ্দীপক পরিবেশে নিজেকে নিয়ে যাওয়া৷ অর্কেস্ট্রার এক সংগীত শিল্পীর কাছে কিছু সংগীতাংশ দুরূহ মনে হত৷ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করতে গেলে বক্ষ দুরুদুরু করতো তাঁর৷ এই ভীতি ভাঙতে সংগীত পরিবেশন শুরু করেন তিনি পথে পথে৷ ধীরে ধীরে আতঙ্ক দূর হয়ে যায় তাঁর৷ সংগীতের পেশায় আনন্দও খুঁজে পান৷ এ প্রসঙ্গে ডা. ম্যাহকর্ন জানান, ‘‘রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে আরোগ্য লাভের সম্ভাবনা৷ অনেকে ৩/৪ ঘন্টা থেরাপির পর আত্মবিশ্বাস ফিরে পান৷ অনেক রোগী মাসে একবার পরপর ২/৩ দিন আসেন আমাদের কাছে৷ আবার কেউ কেউ প্রতি সপ্তাহে একবার আসেন৷ ২০ ঘন্টা থেরাপির পর বলতে সক্ষম হন, ‘এখন আমি একাই এগিয়ে যেতে পারব৷' আমাকে আর তাঁদের প্রয়োজন হয়না, আর এটাই আমার লক্ষ্য৷''

লিখেছেনঃ  রায়হানা বেগম 

Daily News পরামর্শ মাইক্রোসফট এক্সেল টিউটোরিয়াল Top News পৃথিবীর বাংলা খবর মাইক্রোসফট ওয়ার্ড টিউটোরিয়াল সুস্থ সুন্দর থাকার জন্য CA Study English News বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল Bangladesh Local News oDesk test answers ওডেস্ক ফ্রিল্যান্সিং ব্লগার ব্লগ টিউটরিয়াল ঈদূল-আজ-হা অন্যান্য ওয়েবসাইট ডিজাইনিং ঘড়োয়া টুকিটাকি Mobile AD NG ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট টিনেজার ব্লগিং গুল অ্যাডসেন্স Eid-ul-Azha IELTS International Photoshop আজকের আলোচিত খেলা ডাউনলোড ফটোশপ লাইফ স্টাইল Admission BCS Preparation Bangla Vedio Song Book Comilla Craigslist Download Elance Facebook Gazipur Google Gre Word IELTS Vocabulary Japan Khulna Math Tutor Money Mymensingh PHP Personal Short Film Shortcut Key Technology Texas Vocabulary Windows Youtube আজ থেকে টানা ৬০ ঘণ্টা হরতাল উইন্ডোজ টিউটোরিয়াল কোরবানীর প্রস্তুতি গ্রী ওয়ার্ড ছবি ঘড় জুমলা বরতমান বৈদেশিক সম্পর্ক মাইক্রোসফট অফিস টিউটোরিয়াল মেহেদি রাজনিতি রুপ-চরচা সাক্ষাৎকার হরতালের আগেই বোমা হামলা
Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...